বিনোদন ডেস্ক।।
শোকে শুরু বছর। উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতে নক্ষত্রপতন। না ফেরার দেশে চলে গেছেন বরেণ্য শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে চারটার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। কয়েক বছর ধরে প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন রশিদ খান। সম্প্রতি তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। এরপর তড়িঘড়ি হাসপালে ভর্তি করানো হয় তাকে। ভেন্টিলেশন তথা লাইফ সাপোর্টেও রাখা হয়েছিল শিল্পীকে। কিন্তু ফেরানো যায়নি আর।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরেই তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বের হয়ে এসে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের যদি কিছু বলার থাকে বলুন, তারপর আমি বলবো।’ এরপরই মৃত্যুর বার্তা শোনান দায়িত্বরত চিকিৎসক। বললেন, ‘এত দিন হাসপাতালে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়েছিল। তাকে ভেন্টিলেশনেও নেওয়া হয়। কিন্তু ফিরিয়ে আনতে পারিনি। ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা গেছেন।’

তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। কয়েক বছর ধরে প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন রশিদ খান। ঢাকাবার্তা।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অনন্য নাম রশিদ খান। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই দেশটির উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বদায়ূঁতে। পারিবারিকভাবেই সংগীতের আবহে বেড়ে ওঠেন এবং দাদা ওস্তাদ নিসার হোসেন খাঁ-র কাছ থেকে তালিম নেওয়া শুরু করেন। পরে আরও বিজ্ঞজনের কাছেও তালিম নিয়েছেন তিনি। শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতিনিধি হলেও তিনি আধুনিক তথা বলিউড-টলিউডেও গান করেছেন। তার গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘আওগে যাব তুম সাজনা’, ‘মানওয়া, ‘আল্লাহ হি রাহেম’, ‘তু বানযা গালি’ ইত্যাদি। তবে সিনেমার বাইরে তার গান ও অ্যালবামের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার।
নন্দিত এই শিল্পী ২০০৬ সালের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী, ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের সম্মাননা বঙ্গ বিভুষণ এবং ২০২২ সালে দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্ম ভূষণ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইধিকার উত্থান ঢাকায়, ফল মিলছে কলকাতায়!