ফিচার ডেস্ক ।।
ইসলাম ধর্মে দান বা সদকা করার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধুমাত্র গরীব এবং অসহায়দের সাহায্য করা নয়, বরং এটি ব্যক্তির নৈতিক ও আত্মিক উন্নতির একটি মাধ্যম। কিন্তু প্রশ্ন হলো, অবৈধ বা হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে দান করলে সওয়াব হবে কিনা?
কোরআনের দৃষ্টিভঙ্গি
কোরআনে বিভিন্ন স্থানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ পবিত্র এবং হালাল উপার্জনকেই গ্রহণ করেন।
আল কোরআন
“হে মুমিনগণ! তোমরা যা কিছু সৎ ও পবিত্র উপার্জন করো এবং যা কিছু আমি তোমাদের জন্য ভূমি হতে উৎপন্ন করেছি তা থেকে ব্যয় করো” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৬৭)।
হাদীসের দৃষ্টিভঙ্গি
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদীসেও হারাম উপার্জন নিয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
আল হাদীস
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা পবিত্র এবং তিনি শুধুমাত্র পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন। আল্লাহ মুমিনদেরকে ও সেই আদেশ দিয়েছেন, যেমনটি তিনি রাসূলদেরকে দিয়েছেন।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০১৫)।
একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি পবিত্র ছাড়া কিছু গ্রহণ করেন না।” (মুসলিম, হাদীস নং ১০১৫)।
ফকীহদের মতামত
ইসলামী ফকীহরা সর্বসম্মতভাবে এ বিষয়ে একমত যে, হারাম উপার্জন থেকে দান করলে কোনো সওয়াব হবে না বরং তা গুনাহর কাজ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ইমাম নববী বলেন, “হারাম সম্পদ থেকে দান করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
উপসংহার
ইসলামে দান করা একটি সওয়াবের কাজ, কিন্তু তা হালাল ও পবিত্র উপার্জন থেকে করতে হবে। অবৈধ টাকায় দান করা সওয়াবের বদলে গুনাহর কাজ হিসাবে গণ্য হতে পারে। তাই, সওয়াব পেতে হলে হালাল উপার্জন থেকে দান করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল রিজিক দিয়ে দান করার তৌফিক দান করুন। আমীন।