বিদেশ ডেস্ক।।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়েকশ প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে আসে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সহকারী কমিশনার টনি কুক বলেছেন, সিডনি সমাবেশে ৬ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয়েছিল। ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, মেলবোর্নে ১০ হাজার লোক মিছিল করেছে।
অ্যাডিলেডে রাজ্য পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ফিলিস্তিনপন্থী একটি সমাবেশ হয়। আরেকটি সমাবেশ হয় ব্রিসবেনে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সুশৃঙ্খল এবং আইনানুগ আচরণ করেছে।
এর আগে, নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স সিডনি সমাবেশে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, কোনো ধরণের অপমান বা সহিংসতা সহ্য করা হবে না। সিডনির রাস্তায় ‘কমান্ডো মহড়া’ করতে দেওয়া হবে না।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ডেভিড হাডসন সমাবেশের আগে বলেছিলেন, পুলিশ এই সমাবেশের জন্য ‘অসাধারণ ক্ষমতা’ ব্যবহার করবে, যা ২০০৫ সালে ক্রোনুলা দাঙ্গার সময় প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ইঙ্গিত দিতে পারি যে আমরা যে ক্ষমতাগুলো অনুমোদন করার কথা বিবেচনা করছি তার মধ্যে যে কোনো ব্যক্তিকে আমাদের অনুসন্ধানের জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণের প্রয়োজন নেই।’
‘আমরা দাবি করবো যে তারা আমাদের আছে তাদের পরিচয়পত্র দেবে। সেটা যদি তারা না দেয় তবে এটা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে,’ তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুনঃ ইসরায়েল থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে লেবাননে রয়টার্সের সাংবাদিক নিহত