সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ৩৬ ওভারে ১৫৯/৯ (ফজল ০ *, নাভিন ২*)
মুজিবের উইকেট নিয়ে মিরাজের শিকার ৩
এবার আর ইনসাইড-এজ হলো কি না, তা নিয়ে সংশয় নেই। পরিষ্কার বোল্ড হয়ে গেছেন মুজিব। মিরাজকে বড় শটের চেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। আফগানিস্তানের বাকি ৯ উইকেট। স্কোরবোর্ডে রানের কলাম পড়ছে ১৫৬।
সফল শরীফুলও
আরেকটি ইনসাইড এজে বোল্ড। আফগানিস্তানের আরেকটি উইকেট।
শরীফুল ইসলামের দিনটি ঠিক ভালো যাচ্ছিল না। এর আগে ৫ ওভারে দিয়েছিলেন ৩৪ রান। এবার সফল হলেন তিনিও। ইনসাইড এজে বোল্ড হওয়া তৃতীয় চতুর্থ আফগান ব্যাটসম্যান হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আচ্ছা, পরে রিপ্লে দেখিয়েছে, ঠিক ইনসাইড-এজ হননি ওমরজাই। বল তাঁর প্যাডে লেগে গিয়ে ঢুকেছে স্টাম্পে। যেভাবেই হোক, আফগানিস্তান হারিয়েছে অষ্টম উইকেট।
তাসকিনের আঘাতে বোল্ড মোহাম্মদ নবী
প্রথম দিকে সাফল্য পাননি তাসকিন। আফগানদের চেপে ধরার মুহূর্তে ৩০তম ওভারে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়েছেন। যার জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা ছিল সেই মোহাম্মদ নবীকে মাত্র ৬ রানেই তাসকিন বোল্ড করেছেন। এই উইকেটে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে।
সাকিবের শিকার ৩
একটু আগে টেলিভিশন সম্প্রচারে একটা কোলাজ দেখানো হয়েছিল, তাতে সাকিবের মাঠে অঙ্গভঙ্গী ছিল। ধারাভাষ্যে নাসের হুসেইন বলছিলেন, নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামা সাকিবকে মাঠেও রোমাঞ্চিত দেখাচ্ছে। সেটি দেখানোরই কথা। সাকিবের দিনটি যে যাচ্ছে দারুণ!
বোলিংয়ে ফিরলেন পরের স্পেলে। এসেই পেলেন উইকেটের দেখা। লাইন পুরো মিস করে বোল্ড হয়েছেন নজিবুল্লাহ জাদরান। সাকিব পেয়েছেন তাঁর তৃতীয় উইকেট, আফগানিস্তান হারিয়েছে তাদের পঞ্চম।
ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে চপে ধরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রান।
গুরবাজকে থামালেন মোস্তাফিজ, চাপে আফগানিস্তান
গুরবাজের হতাশা বাড়ছিল। জুটি গড়তে না পারার হতাশা। অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের ধুঁকতে থাকার হতাশা।
সেটি থেকেই কি না অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে তুলে মারতে গেলেন মোস্তাফিজকে। ড্রাইভ করেছিলেন। তবে ক্যাচ গেছে ডিপ পয়েন্টে। সীমানার কাছ থেকে ছুটে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ। বাংলাদেশ ক্যাচিংয়ে ভুল করেনি আজ।
গুরবাজ আরেকবার হাত থেকে ফেলে দিয়েছেন হতাশায়। তবে এবার নিজের উইকেটেরই হতাশায়। ৪৭ রানেই থেমেছেন তিনি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় উইকেটও তুলে নিলেন সাকিব
১৫তম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে এসেছেন মিরাজ। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আরেকটি ব্রেকথ্রু। তবে সেটি এনে দিলেন ওই সাকিব আল হাসান!
আবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বল। এবারও লেংথ কম। আবার সুইপের চেষ্টা, এবার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। আবার টপ-এজ। যদিও এবার ক্যাচ গেছে উল্টো দিকে—কাভারে। লিটন দাস সেখানে ভুল করেননি। সাকিব পেয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট, বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিতীয় উইকেট।
প্রথম উইকেট নিলেন সাকিব
দুই প্রান্ত থেকেই বোলিংয়ে সাকিব পরিবর্তন এনেছিলেন। মোস্তাফিজের পর নিজেই আসেন। সাকিবই দিলেন প্রথম ব্রেকথ্রু। অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন সাকিব, ছিল বাড়তি বাউন্স। সুইপের চেষ্টা করেছিলেন ইব্রাহিম, তবে টপ-এজে ক্যাচ গেছে ডিপ স্কয়ার লেগে। বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম উইকেট, নবম ওভারে। ইব্রাহিম থেমেছেন ২৫ বলে ২২ রানে, আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৪৭ রানে।
তিন পেসার নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই দিন আগে বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশের মিশন শুরু হচ্ছে আজ। ভারতের ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসও জিতেছে তারা। আফগানিস্তানকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একাদশে বাংলাদেশ আজ তিন পেসার নিয়ে নামছে। সঙ্গে স্পিনার হিসেবে আছেন সাকিব, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।
টস জিতে সাকিব বলেছেন, ‘রান তাড়া করার জন্য এটা উপযুক্ত মাঠ। শুরুর দিকে পেসারদের ভালো সুবিধাও পাওয়ার কথা’
আফগান দলে দুই পেসার নাভিন আর ফারুকীসহ আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ওমরজাই। স্পিনার হিসেবে রশিদ, মুজিব, নবীরা তো আছেনই।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হামশতমউল্লাহ শহীদী, মোহাম্মদ নবী, নাজিবউল্লাহ জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজািই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নাভিন উল হক, ফজল হক ফারুকী।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলাদেশ
আফগানদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও, শক্তির বিচারে দুই দলই প্রায় সমানে সমান। যদিও পরিসংখ্যানে অনেকখানি এগিয়ে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের ছয় জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ ম্যাচ। সবশেষ এশিয়া কাপে রশিদ-নবীদের হারিয়েছে সাকিবরা। তার আগে অবশ্য নবীদের কাছেই দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সিরিজে হেরেছে!