কলকাতা প্রতিনিধি ।।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। নিঃসন্দেহে তৃণমূলকে এগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ভোটে বিরাট কার্যকরী ভূমিকা নেয় এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মূলত মহিলা ভোটকে তৃণমূলমুখী করার ক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিষয়টি বাংলার তৃণমূল নেত্রীর মাথায় এসেছিল কীভাবে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভূমিকা ছিল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর পেছনে।
এর নেপথ্য়ে ঘটনাটি নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার এগরায় প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, যখন আমি দেখলাম দেশে নোটবন্দি হয়েছে আধ ঘণ্টার মধ্য়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলাম দেশের ক্ষতি হবে। এরপর তিনি বলেন, অভিষেকের মা লতা আমার কাছে থাকে। আমার দেখাশোনা করে। ওর পরিচারিকা বলে আমাকে দু হাজার টাকা দাও না। ব্য়াঙ্কে পাঁচশো-হাজার টাকা দেবে না। লতাকে বললাম তোর কাছে অনেক টাকা জমানো রয়েছে। তা হলে? ও বলে কোথায় জমানো! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে লুকিয়ে চুরিয়ে যেটুকু জমিয়ে রেখেছিলাম সেটাও নোটবন্দিতে কেড়ে নিল। তিনি বলেন, তখন ভাবলাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটা আমি কেড়ে নিতে দেব না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আগের দিনে মেয়েরা জমিয়ে রাখতেন। সেই টাকাটা প্রয়োজনে খরচ করতেন। আমার নিজের একটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রয়েছে। সেখানে ৫ টাকা ১০টাকা ফেলে রাখি। যখন প্রয়োজন পড়বে ওই টাকাটা কাজে লাগবে। জানিয়েছিলেন মমতা।
এদিকে মমতার এই বক্তব্যের পালটা খোঁচা দিয়েছে বাম ও বিজেপি।
তবে সব মিলিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের পেছনের ঘটনাটি ঠিক কী সেটা জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এর আগে ইসলামপুরের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘বিজেপির এত বড় সাহস। আজ বলছে তিনমাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাদ দিয়ে দেব। আমি বলছি কে রে হরিদাস। হরিদাস নম্বর ১। বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। সাহস থাকলে দেখাক। জানে মায়ের আঁচলের কত দাম। এটা মমতা ব্যানার্জির ওয়াদা… এটা মমতা ব্যানার্জি মা বোনেদের জন্য করেছে। যত দিন বাঁচবেন ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। বিজেপিকে দেখলে বলবেন ছিঃ বিজেপি ছিঃ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাড়তে এসেছ।..এনআরসি করতে গিয়ে কত মানুষ মারা গিয়েছে। যোগী আসছেন এখানে কথা বলতে। আর উত্তরপ্রদেশে কাউকে কথা বলতে দেয় না। আগে নিজের রাজ্য সামলাও। জিজ্ঞেস করুন বিজেপি বাবুদের। এই মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার সদস্য করেছিলাম। কিন্তু জানতাম না ও এত বড় গাদ্দার। শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। রাতারাতি গাদ্দার হয়ে গেল। যারা দো-আঁশলা, যারা জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায়, যারা জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায় না তাদের আমি মানুষ বলে মনে করি। ’