৮০
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী জানান, শফিকুল আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে আমি চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, কালাম মেম্বারসহ অনেককে বিষয়টি জানালে তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, নাকে খত, জুতার বাড়ি দিয়ে সালিশ করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে দেয়। আমি এ রায় মেনে না নিলে তারা আমাকে ভয় দেখায় যে আমি এ রায় মেনে না নিলে আমাকে দেখে নেবেন এবং আমি আমার স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাই এমন লিখে দেবেন। কিন্তু আমি এ রায় মেনে না নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
তবে বিচারের ভিডিও বলছে অন্য কথা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই বিচারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার তার ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় টাকায় পাল্টে দেন সালিশি রায়। সালিশি বাণিজ্যসহ এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আস্থা হারাচ্ছে গ্রাম আদালতের সালিশ। তার বিরুদ্ধে ভয়ে সবাই নীরব।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বেড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ও গৃহিণী। ৩১ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে ওই গৃহবধূ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরে সাংসারিক কাজ করছিলেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম গৃহবধূর ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শনিবার রাতে বেড়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার।।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২ টার দিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার হওয়া আসামির নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি বেড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী জানান, শফিকুল আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে আমি চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, কালাম মেম্বারসহ অনেককে বিষয়টি জানালে তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, নাকে খত, জুতার বাড়ি দিয়ে সালিশ করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে দেয়। আমি এ রায় মেনে না নিলে তারা আমাকে ভয় দেখায় যে আমি এ রায় মেনে না নিলে আমাকে দেখে নেবেন এবং আমি আমার স্ত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাই এমন লিখে দেবেন। কিন্তু আমি এ রায় মেনে না নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভূমিহীন বলে কি আমাদের মান নেই? আমাদের ইজ্জতের দাম কি ১ হাজার টাকা? চেয়ারম্যান জোর করে রায় মেনে নিতে আমাদের বাধ্য করে। কিন্তু আমি এ রায় মানি না। আমি ধর্ষকের বিচার চাই। চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সমন্বয়েই এ বিচার করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বিচার করতে পারেন কিনা বা ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এ গুলো মিথ্যা কথা।
তবে বিচারের ভিডিও বলছে অন্য কথা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই বিচারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার তার ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় টাকায় পাল্টে দেন সালিশি রায়। সালিশি বাণিজ্যসহ এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আস্থা হারাচ্ছে গ্রাম আদালতের সালিশ। তার বিরুদ্ধে ভয়ে সবাই নীরব।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বেড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ও গৃহিণী। ৩১ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে ওই গৃহবধূ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরে সাংসারিক কাজ করছিলেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম গৃহবধূর ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শনিবার রাতে বেড়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।