বিদেশ ডেস্ক।।
আজ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস জানিয়েছে, তারা ইরাকের আধাস্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলের ‘মোসাদ গোয়েন্দা সদরদপ্তরে’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানি বাহিনীটি জানিয়েছে, তারা সিরিয়ায় ইসরায়েলের বন্ধু ও জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধেও হামলা চালিয়েছে। ইরানের সরকারও এসব হামলার খবর নিশ্চিত করেছে।
ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে যুক্তরাষ্ট্রের কন্স্যুলেটের কাছেই একটি আবাসিক এলাকায় হামলাটি হয় করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। এতে তাতক্ষনিকভাবে ৪ জনের নিহত ও ৬ জনের আহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেন থেকে ইরানের মিত্ররা এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাত এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে চরম ভয়,ভীতি ও উদ্বেগের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরাকের ইরবিলে ইরানের এই হামলার নিন্দা করে একে ‘বেপরোয়া আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরবিলে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্থাপনাকে লক্ষ্যস্থল করা হয়নি এবং হামলায় মার্কিন কোনো নাগরিক হতাহতও হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা ইরানের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরোধিতা করি।’ যুক্তরাষ্ট্র ‘ইরাকি জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য ইরাক সরকার এবং কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে ও ইরানের এই হামলার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’
ইরানের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছে, “ ইসরায়েলি জায়নবাদী শাসকদের সাম্প্রতিক নৃশংসতার কারণে গার্ডসের ও প্রতিরোধ অক্ষের সোলাইমানিসহ আরও বেশ কিছু কমান্ডার নিহত হয়েছে, এর জবাবে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে মোসাদের অন্যতম প্রধান গোয়েন্দা সদরদপ্তরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছি আমরা। তারা আর কখনো আমাদের দিকে নজর তুলে তাকানোর সাহস পাবেনা শহীদদের শেষ রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত গার্ডসের আক্রমণাত্মক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আমাদের জাতিকে আশ্বস্ত করছি,”
চলতি মাসের প্রথমদিকে ইরানের কেরমান শহরে রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রয়াত শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেমানির মাজারে দু’টি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ইরান জানিয়েছে, সেজন্য তারা মোসাদের সদরদপ্তরের পাশাপাশি তাদের বন্ধু আইএসের ওপরেও হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা আরও জোরদার হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্য ব্যাপক সংঘাতে জড়িয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এবার লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হুথিদের হামলা