ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ করেছে ইসলামি কয়েকটি দল। আজ শুক্রবার বাদ জুমা ইসলামি বিভিন্ন দল ও সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এসব বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজন ইসরায়েলের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকাও দাহ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর অবিলম্বে হামলা বন্ধ করাসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে প্রথমে মিছিল বের করে খেলাফতে মজলিস। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের নিজের ভূমিতে নিজেরাই আজ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। গাজায় পানি, বিদ্যুৎসহ সব জনসুবিধা বন্ধ করে একটি মরণকূপে পরিণত করা হয়েছে। সেখানকার মানুষ আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েল সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করে ফিলিস্তিনিদের ওপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করছে এবং নারী–শিশু হত্যাসহ মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
খেলাফতে মজলিসের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশ ইসলামী যুব জোট, বাংলাদেশ শান্তি সংঘ নামের সংগঠনের ব্যানারেও বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে অনেক সাধারণ মুসল্লিও অংশ নেন।
এদিকে গতকাল দুপুর থেকে বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে বিভিন্ন ইসলামি দলের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘নির্বাচনে সব দলকে আনার দায়িত্ব সরকারের’