বিদেশ ডেস্ক।।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইসরায়েলকে নতুন করে এক হাজার ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক সহায়তা দেওয়ার এই আইনটি উপস্থাপন করেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ।
সামরিক সহায়তা প্রস্তাবটি বিল আকারে পাসের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদেরকে চিঠি দিয়েছেন স্পিকার মাইক জনসন। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই বিলটির ওপর আগামী সপ্তাহে সিনেটে ভোটাভুটি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেসময় মেক্সিকোর সঙ্গে দক্ষিণ মার্কিন সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রস্তাবও থাকবে। ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটি বলেছে, এক হাজার ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা, কামান ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে পারবে ইসরায়েল।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাউজের রক্ষণশীলরা ইসরায়েলের জন্য তহবিল পাসে বাধা দেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে সহায়তা বিলে তাইওয়ানকেও সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় সিনেট। প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ইসরায়েলের জন্য এক হাজার ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছিল রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত হাউজ। কিন্তু সেখানে শর্ত ছিল, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব খাতে নির্ধারিত অর্থের একটি অংশ রেখে, তারপর তা ইসরায়েলকে দেওয়া হবে।
ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেট এই শর্তের কারণে তা আটকে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হতে পারে, যার মাধ্যমে ইসরায়েলের পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনও বিল পাসের কিছু নিয়ম আছে। যেমন, ইসরায়েল বা ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রথমে প্রতিনিধি পরিষদে উপস্থাপন করা হয়। তারপর সিনেটে বিল পাস হওয়ার পর তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হয়। প্রেসিডেন্টের সইয়ের পরই বিলটি আইনে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে যুক্তরাজ্য: ক্যামেরন