বিদেশ ডেস্ক।।
ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এমনকি তাদের ক্ষমতা শত্রুর চেয়েও বেশি বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এই খবর জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার একটি রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ইসমাইল হানিয়া। ওই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ বাহিনীগুলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এসময় ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচল মনোভাব এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দুর্বল করতে সেনাদের প্রশংসাও করেন হামাসের এই রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধের বীর নায়করা গাজায় গৌরবের ইতিহাস লিখছেন। নিজেদের বীরত্ব, সাহস এবং সাহসিকতা প্রমাণ করে তারা শত্রুর সেনাবাহিনী এবং তাদের যানবাহনকে ঘায়েল করে দিচ্ছে।’
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে ইসমাইল হানিয়া বলেন, শত্রুপক্ষ দীর্ঘ যুদ্ধ চাইলে, আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা শত্রুর চেয়েও বেশি এবং এ লড়াইয়ে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতাই চূড়ান্তভাবে জয়ী হবে।’ এসময় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ দলগুলো ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে কৌশলগত সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে এবং এতে শুধু যে তারাই বিজয়ী হবে এমন ইঙ্গিতও দেন তিনি।
ওই বক্তব্যে ২০০৫ সালে গাজা থেকে ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার কথাও উল্লেখ করেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেন, ‘আল-কাসাম ব্রিগেড এবং প্রতিরোধ দলগুলোকে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে পরাজিত করতে দেখবে বিশ্ব, যেমনটি তারা ১৮ বছর আগে দেখেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল শুধু ব্যর্থতা, হতাশা এবং পরাজয় ছাড়া আর কিছুই পাবে না।’
হানিয়া বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি বা জোরপূর্বক বন্দিদের পুনরুদ্ধারের বিষয়ে শত্রুদের যে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছিল গাজার বাসিন্দা এবং প্রতিরোধ যোদ্ধারা তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
এর আগে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া। গাজায় চলমান যুদ্ধ পুরো অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। অক্টোবরের শেষের দিকে এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান।
গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে তাদের আকস্মিক ও নজিরবিহীন হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৫