নির্বাচন ডেস্ক।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে কলার ছড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। ভোটকে সামনে রেখে গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। ভোটার মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে নিজের মতামত জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন একরামুজ্জামান। একই আসনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এবার তার সঙ্গে একরামুজ্জামানের লড়াইয়ের কথা বলেছেন ভোটারদের সঙ্গে সেখানে তিনি বলেন ” নাসিরনগরের ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসন গঠিত। ভোটের মাঠে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় আছে। নির্বাচনি পরিবেশও ভালো। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে বলে আশা করছি”।
দলীয় প্রতীক না নিয়ে, স্বতন্ত্র হয়ে লড়াই করার অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করা হলে একরামুজ্জামান বলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলাম। তখন দলের লোকজন সঙ্গে ছিলেন। এখন যে নেই, তা নয়। এবার আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী রয়েছেন। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আমাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’
এলাকার উন্নয়ণেও ভূমিকার কথায় এমপি প্রার্থী বলেন ” আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের বড় একটা অংশ প্রান্তিক পর্যায়ের। জেলে পরিবারের সংখ্যা বেশি। হাওরের বড় একটা অংশ জেলে পরিবার। তাদের জন্য জলমহাল ইজারামুক্ত রাখবো। জেলেদের যেসব দাবি-দাওয়া ও অধিকার আছে, সেগুলো পূরণ করবো। এখানে জেলেদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে একশ্রেণির লোক ফায়দা লুটছে। “জাল যার, জলা তার” এবার এমপি হলে এটি নিশ্চিত করবো।’
পিছিয়ে থাকা নাসিরনগর উপজেলাকে শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গে বলেন ” শিক্ষা প্রসারের চেয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন জরুরি। এজন্য এখানের স্কুলগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়নের চেষ্টা করবো। এমপি হলে বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করবো। কারণ পিছিয়ে পড়া নাসিরনগর থেকে যারা পাস করে জাতীয় পর্যায়ে যাচ্ছেন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু ভালো কিছু করতে পারছেন না; আমি তাদের পাশে দাঁড়াবো। নাসিরনগর সরকারি কলেজটিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কয়েকটি প্রোগ্রাম চালুর উদ্যোগ নেবো। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানে সব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া নাসিরনগরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আছে আমার।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কুসুমাস্তীর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্য হতে হবে: সিইসি