সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

আজ, ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন। জীবনের হাফ সেঞ্চুরিতে পা রাখলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত তারকা

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
ঐশ্বরিয়া রাই

বিনোদন ডেস্ক।। 

বিশ্বসুন্দরী উপাধিটা যার মাধ্যমে উপমহাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে, তিনি ঐশ্বরিয়া রাই। একটা সময় সৌন্দর্যের মাপকাঠি ছিলেন তিনি। কোনও নারী কতটা সুদর্শনা, সেটার তুলনা করতে গেলে ঐশ্বরিয়ার নামটি উচ্চারিত হতো প্যারামিটার হিসেবে। না, শুধু সৌন্দর্যেই সীমাবদ্ধ নয় অ্যাশের খ্যাতি। অভিনয়ে তিনি নিজেকে আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আজ, বুধবার (১ নভেম্বর) ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন। জীবনের হাফ সেঞ্চুরিতে পা রাখলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত তারকা। বিশেষ দিনে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অধ্যায়ে দেখে নেয়া যাক।

সৌন্দর্যে বিশ্বজয় ঐশ্বরিয়ার

১৯৯৪ সালে ভারতে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সে আসরে প্রথম রানারআপ হন ঐশ্বরিয়া। তবে ঘটনাক্রমে তিনি পৌঁছে যান মিস ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আর সবাইকে টপকে জিতে নেন সেরার মুকুট। হয়ে যান ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ তথা বিশ্বসুন্দরী।

রূপালি পর্দায় যাত্রা

মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ের পরই ঐশ্বরিয়ার কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসতে শুরু করে। এখন তিনি বলিউডের নামজাদী অভিনেত্রী হলেও শুরুটা কিন্তু হয়েছিল তামিল ছবি দিয়ে। বিখ্যাত নির্মাতা মণিরত্মমের পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে ‘ইরুভার’ দিয়ে তার রূপালি পথচলা শুরু হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, একই বছর তিনি বলিউডেও আত্মপ্রকাশ করেন; ‘অউর পেয়ার হো গায়া’ সিনেমার মাধ্যমে।

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার

১৯৯৯ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া। এটিই তার ক্যারিয়ার ভিত গড়ে দেয়। একই বছর সুভাষ ঘাইয়ের ‘তাল’ ছবিটিও তাকে প্রশংসা, জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর তাকে দেখা গেছে ‘দেবদাস’, ‘গুরু’, ‘ধুম ২’, ‘যোধা আকবর’, ‘চোখের বালি’, ‘এনথিরাম’, ‘গুজারিশ’, ‘পন্নিয়িন সেলভান’র মতো দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমায়।

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

কুইন অব কান

বিখ্যাত কান উৎসব যেন ঐশ্বরিয়ার দ্বিতীয় বাড়ি! নিয়ম করে প্রতি বছরই তার ডাক আসে সেখানে। তিনিও মুগ্ধতা ছড়াতে হাজির হন চোখ ধাঁধানো সাজে। টানা দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কান উৎসবের লাল গালিচায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন!

সুখী দাম্পত্য

পর্দায় জুটি বাঁধার পর বাস্তব জীবনেও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চন। এরপর ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এসেছে এক কন্যা আরাধ্য। দাম্পত্য জীবনের দীর্ঘ সময় নিয়ে ঐশ্বরিয়া একদা বলেছেন, ‘এই জার্নিটা যেন চোখের পলকের মতো। এটা অসধারণ একটা সময়, যেটা খুব দ্রুত বয়ে যাচ্ছে।’

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

দায়িত্বশীল মা

তারকা জীবনের বাইরে ঐশ্বরিয়া একজন আদর্শ মা হিসেবেও পরিচিত। কন্যা আরাধ্যের জন্য তার ত্যাগ, ভালোবাসা কম-বেশি সবার জানা। জন্মের পর থেকে প্রায় সার্বক্ষণিক কন্যাকে নিজের সঙ্গে রাখেন অ্যাশ। মাতৃত্ব ও কন্যাকে নিয়ে একবার তিনি বলেছেন, ‘আমি তার শাসক হতে চাই না। আমি চাই একজন মা হতে, যেটা আমি প্রতি দিন একটু একটু করে আবিষ্কার করছি। আমি শুধু তাকে খুশি, সুস্থ আর নিরাপদ দেখতে চাই। সে এমন একজন মানুষ হয়ে উঠুক, যে নিজেকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।’

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

ঝুলিভর্তি পুরস্কার

অভিনয়ের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ পুরস্কার পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী, একই বছর ফিল্মফেয়ার থেকে ‘মোস্ট বিউটিফুল পিপল’ সম্মাননা। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ‘সর্বকালের সেরা সুন্দরী’র খেতাবও জিতেছেন। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৪ সালে তিনি ‘সবচেয়ে সফল মিস ওয়ার্ল্ড’ হিসেবেও সম্মানিত করা হয়। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে দুইবার ফিল্মফেয়ার, ছয়বার আইফা, ছয়বার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন বচ্চনবধূ।

ঐশ্বরিয়ার হাফ সেঞ্চুরি

 

আরও পড়ুন: সেরা অভিনেতা চঞ্চল, অভিনেত্রী জয়া ও শিমু

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net