বিশ্বকাপের ২০তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি। তার আগে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
দুর্দান্ত শুরু করে ইংল্যান্ড। রিস টপলির করা ইনিংসের প্রথম ওভারের ১ম বলেই চার হাঁকালেন কুইন্টন ডি কক। তবে এরপরের বলেই প্রোটিয়া ওপেনারকে আউট করে দেন ইংলিশ পেসার। ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিলো ১২ রান।
ডি ককের দ্রুত আউটের ধাক্কা সামলে দাপুটে ব্যাটিং করছিলেন রেজা হ্যানড্রিকস এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। দুই ব্যাটারের গড়া ১২১ রানের জুটি ভেঙে ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান আদিল রশিদ। ১৯.৪ ওভারে ইংলিশ স্পিনারের উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করেন ভ্যান ডার ডুসেন।
দলীয় ১৬৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের পর এবার রেজা হ্যানড্রিকসকে ফেরালেন আদিল রশিদ। ২৫.২ ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৫ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রান করেন হ্যানড্রিকস। ৩১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার তখন ২০২
এরপর ঝড়ো ও বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান হেইনরিখ ক্লাসেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক পেতে ৬১ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকান এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৪৭ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ৩৪৮ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
ওয়ানডে ফরম্যাটে মার্কো ইয়ানসেনের আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৭ রান। প্রোটিয়া বোলিং অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৪৮ ওভার শেষে ৩৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন তিনি। ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর ফিরে যান হেইনরিখ ক্লাসেন। ৫০তম ওভারের প্রথম বলে প্রোটিয়া ব্যাটারকে ইয়র্কারে কুপোকাত করেন গাস অ্যাটকিনসন। বোল্ড হওয়ার আগে ৬৬ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৯ রান করেন ক্লাসেন।
ক্লাসেন ও ইয়ানসেনের ঝড়ে ৪৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৬ রান নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শেষ ওভারে গাস অ্যাটকিনসনের নৈপুণ্যে মাত্র ৫ রান নিতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। এতে ২০২৩ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো চারশ’র কোঠা ছুঁতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ ওভারে ৩৯৯ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামবে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ ৬৭২ রানের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টানা দ্বিতীয় জয়, পাকিস্তানের দ্বিতীয় হার