শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

কাজ না করলে মজুরি নেই, এই নিয়মে যাচ্ছেন পোশাকমালিকেরা

শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুসারে, বেআইনি ধর্মঘটের কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে এবং সে রকম পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখলে কারখানামালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন এবং এই সময়ে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে না

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
কাজ না করলে মজুরি নেই, এই নিয়মে যাচ্ছেন পোশাকমালিকেরা

বাণিজ্য ডেস্ক।।

পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলায় অংশ নিয়ে কাজ বন্ধ রাখলে কিংবা বিশৃঙ্খলার কারণে কারখানা বন্ধ রাখতে হলে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ বা ‘কাজ নেই, মজুরি নেই’—এই নিয়ম কার্যকরের কথা বলেছেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা। ইতিমধ্যে কিছু কারখানায় তা করা শুরু হয়েছে।

পোশাকশিল্পে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার এক জরুরি আলোচনা সভায় বসেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকেরা। সেখানে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা বাস্তবায়নের কথা জানান।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে তৈরি পোশাকের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এতে এই খাতের প্রায় ২০০ মালিক উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুসারে, বেআইনি ধর্মঘটের কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে এবং সে রকম পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখলে কারখানামালিকেরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন এবং এই সময়ে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হবে না।

আলোচনা সভায় বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইন অনুসারে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি ও বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হচ্ছে। নতুন মজুরি নির্ধারিত হলে সেটিও মানা হবে। আমরা জানিয়েছি, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই নতুন কাঠামোয় মজুরি দেওয়া হবে। ফলে সেই সময়ের আগেই এ ধরনের আন্দোলন, সহিংসতা ও ভাঙচুর অগ্রহণযোগ্য। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

ফারুক হাসান আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা প্রয়োগ করবেন পোশাকমালিকেরা। ইতিমধ্যে আজ থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকালও এটি চালু থাকবে এবং পরবর্তীকালে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।

 

আলোচনা সভার শুরুর দিকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ বলেন, কারখানা ভাঙচুর হলে বা শ্রমিকেরা কাজে না গেলে ১৩(১) ধারা বাস্তবায়নে সবাইকে একমত হতে হবে। এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হবে, সবাই তা মানবে। এ ছাড়া শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে এলাকায় সমস্যা হবে, সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ কে আজাদের এ কথার সঙ্গে সায় দিয়ে পরবর্তীকালে অনেকেই বক্তব্য দেন। যেমন বিজিএমইএর সহসভাপতি আরশাদ জামাল বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে যেসব দিনে কারখানা বন্ধ থাকবে, সেই দিনগুলো সাধারণ ছুটি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কাজ না থাকলে মজুরিও থাকবে না। এ বিষয়ে সবার একমত হওয়া প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন: ডলারের দর আরো ৫০ পয়সা বাড়ল

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net