বিনোদন ডেস্ক।।
এক সপ্তাহ পার হলো নতুন বছর তথা ২০২৪ সালের। বছরের শুরুতে কৃতী স্যানন নতুন পরিকল্পনা সাজায়, যেটাকে ‘রেজ্যুলুশন’ বলা হয়। যদিও ছকে বাঁধা জীবন অনেকের পছন্দ না। তাই আগামীটা সময় ও পরিস্থিতির ওপরেই ছেড়ে দেন তারা। কিছুটা সেরকম ভাবনা পোষণ করেন বলিউড অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। তিনি রেজ্যুলুশনে বিশ্বাস করেন না। তবে দু’একটি চাওয়া একেবারেই যে নেই, তা নয়। সেটা কেমন? কৃতি বললেন, ‘রেজ্যুলুশন তৈরিতে বিশ্বাস করি না আমি। তবে ২০২৪ সালে আমি প্রতিটা মুহূর্তে আনন্দে বাঁচার দিকে মনোযোগ দেবো। আমি অনেক বেশি চিন্তা করি, সুতরাং এই জিনিসটা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো এবং কাজের বাইরে নিজের একটা জগত চাই। গত বছর আমি পরপর কাজ করতে গিয়ে এই বিষয়টা (নিজেকে সময় দেওয়া) ভুলে গিয়েছিলাম।’
এ তো গেলো ব্যক্তিগত জীবনের ভাবনা। অভিনয় জীবনে কী চান? কৃতির জবাব, ‘পেশাগত দিক থেকে আমি অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে আরও গড়ে নিতে চাই এবং কাজের সংখ্যার চেয়ে মানকে গুরুত্ব দিতে চাই।’
২০২৩ সালটা ভালো-মন্দে কেটেছে কৃতি স্যাননের। তার অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এগুলো হলো ‘শেহজাদা’, ‘আদিপুরুষ’ ও ‘গণপথ’। প্রত্যেকটি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছে। তবে কৃতির প্রাপ্তির ঝুলি সমৃদ্ধ হয়েছে বিরাট অর্জনে। গেলো বছরই তিনি পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘মিমি’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি।
এই প্রাপ্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পুরস্কার আমাদের দেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। ইন্ডাস্ট্রিতে এক দশক কাজ করেই এমন স্বীকৃতি পেয়ে নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে; যেটা আমাকে আরও ঝুঁকি নিতে সাহস যোগাবে।’ এই মুহূর্তে কৃতি স্যাননের তিনটি ছবির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে একটি ছবির নাম ‘দো পাত্তি’; যেটার মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্তান ও সন্তানের বাবা কে তা নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়ানা