রাজনীতি ডেস্ক।।
আন্দোলন সংগ্রাম করলে জেল খাটতে হবে, রক্ত ঝরাতে হবে। এটি রাজনীতির অংশ। আমরা বিএনপি’র মতো গলিতে আন্দোলন করবো না। আমরা পুরো রংপুরকে অচল করে দেবো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা জেলা, উপজেলা, মহানগরের ওয়ার্ডের রাজপথে নেমে পড়বেন। আন্দোলনে অফিস আদালত সবকিছু বন্ধ থাকবে।
শনিবার জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা, মহানগরের সকল অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের জন্য যৌথ কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় মেয়র আরও বলেন, যদি নির্বাচনে যেতেই হয় তবে আমাদের ১০০ আসন ও ১০টি মন্ত্রীর পদ দিতে হবে। এবার জাতীয় পার্টি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে মাঠ পর্যায়ে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় ঢাকার একজন নেতা ব্যতীত সব জেলার নেতারা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আমাদের কিছু এমপি রয়েছে, তারা মহাজোটে নির্বাচন করতে চায়। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে তাদের কোনো ভোট নেই। তারা লবিং করে ঘরে বসে এমপি হয়ে হালুয়া-রুটির ভাগ নিতে চায়। ফাও ফাও সুযোগ নিয়ে আয়েশি জীবনযাপন করতে চায়।
মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমাদের প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে আওয়ামী লীগ জীবিত অবস্থায় কারাগারে রেখেছিল। মারা যাওয়ার পরও তার লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। আমরা আসন্ন নির্বাচনকে বর্জন করে জনগণকে জানাতে চাই- জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগের দালাল নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি হানিফুর রহমান, ২৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি নুর ইসলাম, ২১ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন ইসলামসহ জেলা, মহানগর, ওয়ার্ড কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছা কারাবরণের ঘোষণা বাংলাদেশি-আমেরিকানদের, আসছেন চার্টার্ড ফ্লাইটে