মোত্তাকিন মুন।।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই আজ সোমবার থেকে রোজা রাখছে মুসল্লিরা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যুদ্ধের ভীতি ও অনাহারের মধ্যেই নিরানন্দ মনোভাবে প্রথম রোজা রেখেছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী। স্বাভাবিক অবস্থায় পবিত্র রমজান মাসে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কোনও চুক্তি না হওয়ায় প্রথম রোজা থেকেই এবারের রমজান মাস যুদ্ধের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে ফিলিস্তিনের মানুষদের।
ইসলামের পবিত্রতম স্থান জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। রমজানে প্রতি দিন লাখ লাখ মুসল্লি মসজিদে নামাজে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে হামাসের আল-আকসা সম্মুখে বড় মিছিলের ঘোষণা।
তাই, স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আল-আকসা প্রাঙ্গণ ঘিরে উত্তেজনার আশংকা রয়েছে বলেমতামত দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
আগের বছরগুলোর তুলনায় হতাশা ও ভীতির চিত্র পশ্চিম তীরেও। সচরাচর রমজানের শুরুতে ওল্ড সিটিতে যে সাজ-সজ্জা থাকে, এবার তা করা হয়নি। আজ সকাল থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক সরেজমিনে দেখেছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে্র বাসিন্দারাও গাজার মতোই নিরানন্দ আবহে প্রথম রোজা রাখা হয়েছে।
এদিকে রমজান শুরু হবার আগের দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা রমজানে সকল মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হবার ডাক দিয়েছেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারকের একটি কবিতার দুটি পংক্তি উদ্ধৃত করে বলেন –
“❝হারামাইন শরীফে ইবাদত করতে করতে ক্লান্ত হে আবিদ, যদি ময়দানে এসে আমাদের অবস্থা দেখতে, বুঝতে পারতে ইবাদতের নামে আসলে তুমি খেলাধুলা করছো, ফূর্তি আর আমেজে কাটাচ্ছো। তোমাদের গালে অশ্রু কেবলই বিলাসী রঙে রঞ্জিত। তার বদলে এসে দেখো, আমাদের বুকগুলো টকটকে লাল রক্তের রঙে রঞ্জিত!❞
আরও পড়ুন: গাজায় ৩০৭১৭ জন ফিলিস্তিনবাসী নিহত হয়েছেন