স্টাফ রিপোর্টার।।
বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জুলফিকার আহম্মদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম ও একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জুলফিকার আহম্মদকে এর আগেও এমএলএম ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি।
কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা তাঁর বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আইন বিভাগের অধ্যাপক জুলফিকার আহম্মদ এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে একই সময়ে পূর্ণকালীন চাকরি করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত সিন্ডিকেটে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টির অধিক তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সহ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, আগের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫২৬তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। ইতিমধ্যে তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ৩ লাখ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য