খেলা ডেস্ক।।
বিশ্বকাপে উড়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও কোহলির ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে অসহায় ছিল প্রতিপক্ষ। কেবল নেদারল্যান্ডস তাদের হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। আরেক ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে কষ্ট করে জিততে হয়েছে। এই দুইবারই পরে ব্যাটিং করেছে তারা। বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটিং দাপট ছিল চলতি বিশ্বকাপের আলোচিত ব্যাপার। কিন্তু ভারতের কাছে ব্যাট হাতে তাদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠলো। মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হলো।
বিশ্বকাপ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তার দেখা একেবারেই মিলেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের আগের বিধ্বংসী বোলিংই ফিরে এলো কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে টালমাটাল প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ, যারা এই বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে সবগুলোতেই তিনশর বেশি রান করেছিল। কিন্তু এই আসরে তৃতীয়বার পরে ব্যাটিং করতে নেমে ফের হিমশিম খেলো তারা। ভারতের ৩২৬ রানের জবাবে হেরে গেলো ২৪৩ রানে। ওয়ানডেতে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয় এবং যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। তবে বিশ্বমঞ্চে এর আগে এত কম রানে কখনও অলআউট হয়নি প্রোটিয়ারা।
মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি নতুন বল হাতে ধাক্কা দেন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কককে (৫) বোল্ড করেন সিরাজ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বল হাতে নেওয়া জাদেজা টেম্বা বাভুমার (১১) স্টাম্প ভেঙে দেন। দশম ওভারে এইডেন মারক্রামকে (৯) লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান শামি। প্রথম ১০ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর আঘাত জোরেশোরে লেগেছিল প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে।
আইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইফারের কীর্তি গড়েন জাদেজা। ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি, যা বিশ্বকাপে ভারতের কোনও স্পিনারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
২৮তম ওভরের প্রথম বলে লুঙ্গি এনগিডিকে (০) বোল্ড করে প্রোটিয়াদের গুটিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। তার মতো সমান দুটি উইকেট নেন শামি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকা বিরাট কোহলি হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান পাকা করলো ভারত। এই ম্যাচে নামার আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।