বিদেশ ডেস্ক।।
গাজার মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্যের সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। সোমবার (৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম-বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। তিনি বলেন, অন্তত আগামী ছয় সপ্তাহের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি হতে হবে। ইসরায়েলি জিম্মিদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রবিবার আলাবামার সেলমাতে ১৯৬৫ সালে নাগরিক অধিকার বিষয়ক বিক্ষোভকারীদের উপর রাষ্ট্রীয় সেনাদের হামলা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন কামালা। ওই হামলা ব্লাডি সানডে নামে পরিচিত। তিনি বলেন, গাজা প্রতিদিনই বিধ্বস্ত হচ্ছে। মানুষজন লতাপাতা বা পশুখাদ্য খেয়ে জীবন ধারণ করছে। নারীরা চিকিৎসা ছাড়াই অপুষ্ট শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। শিশুরা অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে।
সোমবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য বেনি গ্যান্টজের সাথে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজার জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে কামালার। মিসরের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেয়নি ইসরায়েল। তারা বলছে, হামাস এখনও জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা দিচ্ছে না।
এদিকে, হামাস জানিয়েছে ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে তারা তা করতে পারেনি। এ বিষয়ে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডা. বাসেম নাইম বলেন, এখন পর্যন্ত কে কে বেঁচে আছেন তা জানা অসম্ভব। পরিকল্পিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য এখনও মিসরের রাজধানী কায়রোতে রয়েছেন হামাস প্রতিনিধি দলসহ মার্কিন ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা।
বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি ত্রাণবাহী গাড়ি গেলে, সেখানে ভিড় করা নিরীহ ফিলিস্তিনের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় ১১২ ফিলিস্তিনি মারা যাবার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ আরও তীব্র হয়। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ২১ হাজার শিশু ও নারীসহ অন্তত ৩০ হাজার ৪১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৭১ হাজার ৭০০ জন। আর এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের দুই শর্তে আটকে আছে যুদ্ধবিরতি