জীবনধারা ডেস্ক।।
বাংলাদেশে প্রতি বছর নয় কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন হয়, যার বেশিরভাগই দেশীয় বাজারে বিক্রি হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে চায়ের চাহিদার প্রায় সবটাই নিজস্ব উৎপাদন থেকে মেটানো হচ্ছে। চায়ের আদি বাড়ি যদিও চীনে ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের শহর বা গ্রামে এই পানীয়টি এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। চীনের একটি পানীয় কিভাবে বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে এরকম জনপ্রিয় হয়ে উঠলো?
বাংলাদেশে চায়ের চাষাবাদ প্রথম শুরু হয় ১৮৪০ সালে। চট্টগ্রামে কুন্ডুদের বাগান নামে সেই চা বাগান অবশ্য সফলতার মুখ দেখেনি। এরপর ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিন বছর পর সেই বাগান থেকে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়।
বিশেষ করে শীতের দিনে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় পানীয় বলতে চা-কেই বোঝায়। খাঁটি চা পাতা হলে পান করে তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই চা পাতা কেনার সময় কতগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। প্রথমে একটি ফিল্টার পেপারে অল্প করে চা পাতা ছড়িয়ে রাখুন। এরপর চা পাতা ও পেপারের ওপর অল্প পানি ছিটিয়ে দিন। এবার কলের নিচে ফিল্টার পেপারটি ভালো করে ধুয়ে নিন। ভেজা কাগজটি এবার আলোর সামনে ধরে পেপারের দাগগুলো ভালো করে খেয়াল করুন।
ভেজালহীন চা পাতা হলে ফিল্টার পেপারে কোনো দাগ দেখা যাবে না। আর ভেজাল চা পাতা কাগজের ওপর কালো বা বাদামি রঙের দাগ ফেলবে। ভালো মানের চা পাতা কিছুটা মসৃণ থাকে। চা পাতা হালকা অনুভব করে এবং হাতের তালুতে পাতা রেখে এটির মান পরীক্ষা করা যায়। যদি চা পাতার মধ্যে রুক্ষতা অনুভব করেন তাহলে সেই দানাগুলো ফেলে দেওয়াই হলো সেরা উপায়। ভালো চা পাতার নিজস্ব ঘ্রাণ রয়েছে। সহজেই অন্য চা পাতা থেকে আলাদা করতে পারবেন। চা পাতা যত ভালো থাকবে তার গন্ধ তত ভালো থাকবে। ভালো চা পাতা যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ভালো কোলেস্টেরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এরজন্য ব্ল্যাক টি ও গ্রিন টি বেশি উপকারী।
ভালো মানের চা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা হৃদরোগ, ক্যানসার, বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূরে রাখতে সক্ষম। ভালো মানের এক কাপ চা পান সহজেই ক্লান্তি দূর করবে। চা পাতায় থাকা ক্যাফেইন নামক উপাদান থাকায় মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক টিতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বাতের ঝুঁকি এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। খারাপ চা পাতা দিয়ে তৈরি চা হজমে সমস্যা করে। বমি ভাব হয়। তাই কেনার সময় ভালো চা পাতা দেখে কিনুন।
আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে শাকের বিকল্প নেই