শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে আমি নিজেও বিপদে আছি —শামীম ওসমান

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে টালমাটাল দেশের রাজনীতি। বিশেষ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ২৮শে অক্টোবর। ওইদিন রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি ও জামায়াতের সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সাধারণের মাঝে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা কী হবে সেদিন। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য এম শামীম ওসমান বলছেন ২৮শে অক্টোবর কিছুই হবে না। শুধু তাই নয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিএনপি’র সমাবেশ এবং নিরপেক্ষ ভোট হলে নিজের ও দলের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার ‘খেলা হবে’ স্লোগান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও রাজনীতিতে এই স্লোগান বেমানান। সাক্ষাৎকারে এই স্লোগানের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিল্লাল হোসেন রবিন।

by ঢাকাবার্তা
শামীম ওসমান

প্রশ্ন : ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশ। বিএনপি বলছে, এটা সরকার পতনের মহাযাত্রা শুরু। অন্যদিকে, আপনার দল আওয়ামী লীগ বলছে, ঢাকা থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। আপনার কাছে কী মনে হয়, পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে? 

উত্তর : আমার মনে হচ্ছে ২৮শে অক্টোবর কিছুই হবে না। এই কারণে মনে হচ্ছে যে, জনগণের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি শুধু এক লাখ, দুই লাখ, তিন লাখ মানুষের জমায়েত করলাম। জমায়েত করে কিছু ঘটিয়ে ফেলবো, এটা কোনো বাস্তবতা না। এ রকম জনসমাবেশ আমরাও ক’দিন আগে নারায়ণগঞ্জে করেছি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে। গাড়ি নিয়ে তিনি ঢুকতে পারেননি। ওনাকে রিকশায় করে সমাবেশস্থলে নিতে হয়েছে। এখন আমি কী বলবো সরকার বদলিয়ে ফেলবো। সো আই ক্যান ডু ইট।

২৮শে অক্টোবর বিএনপি বলছে- এটা করবো, ওটা করবো। আমরাও রাস্তায় থাকবো। আমরাও ৪ঠা নভেম্বর সমাবেশ করবো। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তবে তাদের মিটিং হচ্ছে বড় এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। একাত্তর সালে তো আমরা সব ভোট পাই নাই। ৩০% ভোট কিন্তু আমাদের বিপক্ষে গেছে। একটা হচ্ছে আপনি সত্যের পক্ষে লড়াই করবেন- আরেকটা হচ্ছে হিংসার মধ্যে লড়াই করবেন। সত্যের পক্ষে লড়াই করলে মাও সেতুং-এর একটা কথায় আছে ‘একটা এলাকায় হাজার হাজার গেরিলা দরকার নাই। যদি একটা সঠিক গেরিলা থাকে, তাহলেই যথেষ্ট’।

আর যদি গণতন্ত্রের কথা বলি তাহলে বলবো জাতির পিতা একটা সুন্দর কথা বলেছিলেন, যা গণতন্ত্রের জন্য এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হতে পারে না। তিনি বলেছিলেন, কেউ যদি ন্যায্য কথা বলে সে সংখ্যায় একজন হলেও আমরা তার কথা মেনে নিবো। ন্যায্য কথা বলতে হবে। অন্যায্য কথা বললে হবে না। আজকে বলবে- সংসদ ভেঙে দাও, কেয়ারটেকার দাও। কেন? কার কথায় দিবো, কেন দিবো।

একটা পত্রিকা পড়ি না। দেশের ৩৫টা পত্রিকা পড়ি। কোন পত্রিকা কোন ভাষায় কথা বলছে বুঝার চেষ্টা করি। এরপর ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকা পড়ি।

প্রশ্ন : মাঝে মধ্যেই আপনি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে কথা বলেন। এটা কি আপনি  কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বলেন। নাকি এটা আপনার বিশ্লেষণ?

উত্তর : রাজনীতি যেহেতু করি, সব খোঁজখবরই রাখতে হয়। দেশে-বিদেশে বন্ধু-বান্ধব আছে। আর বাংলাদেশের পলিটিকস তো বাংলাদেশের ভেতর হয় না। আর কিছুটা হচ্ছে ম্যাথমেটিকস করি। কেন এই কথাটা বললো। একটা পত্রিকা পড়ি না। দেশের ৩৫টা পত্রিকা পড়ি। কোন পত্রিকা কোন ভাষায় কথা বলছে বুঝার চেষ্টা করি। এরপর ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকা পড়ি। কে কোন জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে কি বলছে। দেশ এবং বিদেশের কোন নেতা কোন ভাষায় আমাদের দেশ নিয়ে কথা বলছে। এই গুলোর একটা ম্যাথমেটিকস মিলালেই একটা ধারণা পাওয়া যায়। বুঝা যায়। কেউ এমপি হয়ে এমপিগিরি এনজয় করেন। আমরা যারা রাজনীতি করি এমপি হয়ে আমরা ওইভাবে এনজয় করতে পারি না। আর আমি নেগেটিভ ক্যারেকটার। অলওয়েজ নেগেটিভ চিন্তা করি। পজেটিভ হলে তো হলো।

আমার মনে হচ্ছে আগামী একমাস দেড় মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কুর্শিয়াল টাইম। এই কুর্শিয়াল টাইমটাতে ডিসিশন হবে বাংলাদেশের যাত্রা কোনদিকে হবে। তবে বিএনপি নামক দলটি একটা পর্যায়ে নাকে খত দিয়ে ইলেকশনে আসবে। তাকে আসতে হবে। এখন যে আসতে দিচ্ছে না সে তারেক রহমান। উনার বক্তব্য যা শুনি কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন করতে দিবো না। করবো না, দিবো না। তাতে যে কেউ আসুক। তফসিল ঘোষণার পর তাদের এই তর্জন গর্জন বিদেশি প্রভুদের যেই আশ্বাস, ঝুলিয়ে রাখা মুলা, যখন দেখবে কাজ হচ্ছে না তখনই তারা মেলিটারি ব্যাকডাউন। হ্যাঁ মে বি। ওই সময় শামীম ওসমান থাকবে না। হয়তো আমাকে মেরে ফেলা হবে। যেমন ২০০০ সালের ১৬ই জুন মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনা ঘটবে কিন্তু। ঝড় আসলে যেমন কিছু গাছপালা ভেঙে পড়বে। টিনের চালা উড়ে যাবে। কিছু গাছ উপড়ে পড়বে। কিন্তু একটি কথা আছে সত্য সব সময় সুন্দর। আর এটা জাতির পিতার কন্যা। যার শরীরে জাতির পিতার রক্ত আছে। মাথানত করার মানুষ সে না। ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। যারা ওনাকে আবার মারার জন্য অ্যাটেম নিচ্ছে তাদেরকে বলবো একবার চিন্তা করেন এতবার মারার চেষ্টা করেও মারা যায়নি। এতগুলো গ্রেনেড মারার পরও একটা স্প্লিন্টার তার শরীরে লাগেনি কেন? আল্লাহ তাকে এই দেশটার জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন।

প্রশ্ন : আপনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা দেখেন কিনা। নাকি এ লড়াই চলতেই থাকবে?

উত্তর : এই বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার কথা শুনতো। কিংবা এই বিএনপি’র মূল লিডারশিপটা যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবের আন্ডারে থাকে, তাহলে কালকেই আলোচনা হবে। কিন্তু এদের সূতাটা অন্য জায়গায়। তাই তারা আলোচনায় বসতে পারবে না। এই জন্য তারা প্রথমে বলছে, সরকার পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। এটাই যদি বলে দাও তাহলে আলোচনার দরকার নাই। এটা বলছেন না- বলানো হচ্ছে। তারা বলতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের আত্মসম্মানবোধ কমে গেছে। এই হিসেবে আমি দেখছি না আলোচনা হবে। তবে যেই স্বপ্ন তারা দেখছেন কিচ্ছু হবে না। কিচ্ছু করতে পারবে না।  হ্যাঁ কিছু আঘাত করবে। কিন্তু আল্টিমেটলি নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে ক’টি ইলেকশন হয়েছে তারচেয়ে ভালো একটি ইলেকশন হবে। শেখ হাসিনার আন্ডারেই নির্বাচন হবে। আমার বিশ্বাস- আল্লাহ শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনবেন।

প্রশ্ন : স্বাধীনতার এত বছর পরও নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কোনো সমঝোতায় কেন যেতে পারলাম না? সমঝোতায় যাওয়ার কোনো উপায় আছে কি?

উত্তর : এক নাম্বার হচ্ছে ২১ বছর দেশে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় ছিল না। সামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। প্রথমটা ঠিক ছিল। দ্বিতীয়টা লতিফুর রহমান এসে কী করলো। আমি নির্বাচনে পাস করেছিলাম। ৩৪ হাজার ভোটে আমি পাস করেছি। পরে  সেনাবাহিনী আমার লোকজনকে বের করে দিয়ে বললো আমি ৩৪ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছি।

খালেদা জিয়া একটা সত্য কথা বলেছেন ‘পাগল আর শিশু ছাড়া  কেউ নিরপেক্ষ না। এটাই সত্য। আমরা ওয়ান ইলেভেনের সময় কেয়ারটেকার সরকার দেখি নাই। তারা নিজেরাই ক্ষমতায় বসে যেতে চেয়েছিল। পারে নাই, জনগণের কারণে। সো এটা ব্যর্থতা- পলিটিশিয়ানরা পলিশিয়ানদের বিশ্বাস করতে পারছে না। একজনের সঙ্গে একজন বসতে পারছে না। আমাদের এই সম্পর্ক রাখতে পারছে না। কিন্তু কেন। এটার মূল কারণ হচ্ছে তারেক রহমান। ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। এটা নেত্রী মানতে পারলেও আমরা কিন্তু মানতে পারছি না। তারপরও ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তিনি ফোন করেছিলেন। কী পরিমাণ অপমান হয়েছে শেখ হাসিনা এটা সবাই জানে। ম্যাডাম অসুস্থ আল্লাহ ওনাকে সুস্থ করুক দোয়া করি। এরপরও কোকো রহমানের মৃত্যুর পর দেখতে গেলেন। কারা গেইট বন্ধ করে দিলো। ভেতর থেকে বাজে বাজে স্লোগান দিলো। তিনি ঢুকলে কিন্তু অন্যরকম একটা সিনারি হতো। একজন মা আরেকটা মায়ের বুকে মাথা রেখে হয়তো কাঁদতেন। রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি হতো। আলোচনার ক্ষেত্র সৃষ্টি হতো। সেই উদ্দেশ্যে কিন্তু জাতির পিতার কন্যা গিয়েছেন। যারা আটকিয়েছে তারাই হচ্ছে মহা শত্রু।

প্রশ্ন : আপনার নিজের নির্বাচন সম্পর্কে আপনি প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে আপনি ঠিক কী লিখেছেন?

উত্তর : আমি অনেক কিছু লিখেছি। তার  মধ্যে একটা কথা লিখেছি- পার্লামেন্টের মিটিংয়েও বলেছি আমাকে নমিনেশন দিয়েন না। কারণ আমরা যারা রাজনীতি করি এমপি হওয়ার জন্য আসি নাই। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আসি নাই। আমি বলছি- আমাকে দেবেন না, কিন্তু আমাকে আপনারা ব্যবহার করেন। কেন? ব্যবহার করতে হবে ক্ষমতায় আসার জন্য। আওয়ামী লীগ আসার জন্য যদি রাজনীতি হতো আমি জীবনেও রাজনীতি করতাম না। অনেকদিন তো করলাম। ম্যারাডোনা ম্যারাডোনা নাম থাকা অবস্থায় অবসরে গিয়েছেন বিধায় ম্যারাডোনার নাম আছে। সময় মতো সরে যাওয়া উচিত আরেকজনকে জায়গা দিয়ে। কিন্তু এইবার ব্যাপারটা হচ্ছে দেশটাকে বাঁচানো। যেই চেতনায় আমার বাবা, ভাই মুক্তিযোদ্ধায় গিয়েছিল আমি সেই চেতনায় রাজনীতি করছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মিটিংয়ে বলেছি- আমাকে মনোনয়ন দিবেন না। অনেকে মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় গ্রুপিং করে। কান্নাকাটি করে। আমি তাদেরকে এটা বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে, প্রথমে দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। তারপর দল তারপর আমি। সো ইউ হ্যাভ টু সেক্রিফাইস। আমি এটাই চেয়েছি।

যারা আমাকে নারায়ণগঞ্জে দেখতে পারে না। তাদেরকেও চিঠি লিখেছি। টেক্স করেছি। মাথায় হাত দিয়েছি। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে মাঠে নামো। সত্যি কথাটা বলো। শত শত কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকার নির্বাচন করে দিয়ে গেছে। কিন্তু তারা কথা বলে না। কথা না বললে নাই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে আহ্বান জানানো, আমি জানিয়েছি।

প্রশ্ন : আপনার কি ধারণা অবাধ নির্বাচন হলে আপনি জয়ী হবেন? সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগ জয়ী হতে পারবে?

উত্তর : দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা জরিপ করেছে এবং আমরাও করেছি যে, ৭০ ভাগ মানুষ মনে করে শেখ হাসিনার সরকার  থাকা উচিত। এটা সত্য। আগের আওয়ামী লীগ পপুলার ছিল। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ (অপজিশনসহ) মনে করে শেখ হাসিনা ছাড়া দেশ চলবে না। শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না। এইটা একটা পজেটিভ সাইট। যেহেতু ওনার কোনো বিকল্প নাই। উনি যেভাবে কষ্টিপাথরে যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিবেন যাদের এলাকায় মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের মনোনয়ন দিবেন। এতে একশ’ জন বাদও হয়ে যেতে পারেন, আবার নাও হতে পারেন।

আর আমার ব্যাপারটা হলো আগে নির্বাচনটা পর্যন্ত বাঁচি। আমি বিশ্বাস করি যা কিছু হয় আল্লাহর হুকুমে হয়।

প্রশ্ন : আপনার ‘খেলা হবে’ স্লোগান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেছেন রাজনীতিতে এ স্লোগান বেমানান। আপনি কী মনে করেন?

উত্তর : খেলা হবে  স্লোগান দিয়ে আমি নিজেও বিপদে আছি। বাংলাদেশে সবাই চিনে জানে। কলকাতাও আমার খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যখন কিছু খাচ্ছি। তখন আমাকে দেখে বলে ‘খেলা হবে’। একটা সেল্ফি তুলবো আপনার সঙ্গে। অনেক তরুণ ছবি তুললো আনন্দবাজার পত্রিকার অফিসে নিয়ে গেল। তারা ইন্টারভিউ করেছে। বললো ‘খেলা হবে’ স্লোগানের জন্য আপনি এখানে অনেক জনপ্রিয়। বিভিন্ন টেলিভিশন তাদের চ্যানেলে নিয়েছে। তারা বলে আপনি কলকাতায় চলে আসেন, আপনি এখানে তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়।

যাক যেভাবে নিয়েছে আমার সেই স্লোগান। আমরা তখন বলেছিলাম স্বাধীনতাবিরোধীদের বিপক্ষে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। এটা ছিল আমার কনসেপ্ট।

(সৌজন্যে : মানবজমিন)

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net