ঢাকাবার্তা ডেস্ক ।।
ইসরাইলকে তিরস্কার করে গাজায় যুদ্ধবিরতির এক বিরল আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। গাজায় ইসরাইলের চরম বর্বরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা মুখে কুলুপ এঁটে আছে। হ্যারিসের এই বক্তব্য এখন পর্যন্ত ইসরাইলের বিষয়ে মার্কিন সরকারের কোনো ঊর্ধ্বতন নেতার সবথেকে কঠোর মন্তব্য। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
রোববার কমালা হ্যারিস বলেন, গাজায় ব্যাপক দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে কমপক্ষে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত। বর্তমানে বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির কারণে জিম্মিদের বের করে আনা হবে এবং গাজায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সাহায্য পাঠানো হবে। তিনি গাজাবাসীর কষ্ট লাঘবে ইসরাইলকে আরও ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন। আলাবামার সেলমাতে তিনি বলেন, গাজার মানুষ ক্ষুধার্ত। পরিস্থিতি অমানবিক। গাজায় সহায়তা পাঠানোর জন্য ইসরাইল সরকারকে অবশ্যই আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অজুহাত দেখালে চলবে না।
গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ নেয়ার সময় ইসরাইলের হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন হ্যারিস। বলেন, অনেক নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আমাদের হৃদয় সেই ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে হতাহতদের জন্য কাঁদছে। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সর্বশেষ পর্বের আলোচনার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল রোববার মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছেছে। কিন্তু তারপর থেকে আলোচনায় আর কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না, তা পরিষ্কার হয়নি। জানা গেছে, যেসব জিম্মিরা এখনও জীবিত আছে তাদের নামের পূর্ণ তালিকা দাবি করেছিল ইসরাইল। কিন্তু হামাস তা প্রত্যাখ্যান করলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনা বর্জন করেছিল। রমজানের আগে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরুর জন্য চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। ইসরাইল চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে শনিবার এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দু’পক্ষ সম্মত হলে পাঁচ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে প্রথমবারের মতো কার্যকর একটি সাময়িক যুদ্ধরিবতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর আগে নভেম্বরে যুদ্ধে শুধু সপ্তাহব্যাপী একটি বিরতি দেওয়া হয়েছিল।