বিদেশ ডেস্ক।।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, নিজের গায়ে আগুন দিয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর যে সদস্য মারা গেছেন, তিনি তাঁর যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদের জন্য ‘অমর’ হয়ে থাকবেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মানতে পারছিলেন না মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য অ্যারন বুশনেল (২৫)। প্রতিবাদে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেন তিনি। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
অ্যারনের আত্মাহুতির ফুটেজ অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অ্যারনের আত্মাহুতির ঘটনা নিয়ে হামাস ইংরেজিতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকান জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের একটি বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণ ও বিশ্বের মুক্ত মানুষের স্মৃতিতে মার্কিন বিমানবাহিনীর এই সদস্য অমর থাকবেন। তিনি ফিলিস্তিন জনগণ ও তাদের ন্যায়সংগত অধিকারের প্রতি বৈশ্বিক মানবিক সংহতির চেতনার প্রতীক।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সরকারি তথ্যের আলোকে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় হামাস। ইসরায়েল বলেছে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে শরীরে আগুন দিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য