এ আর আহমেদ হোসাইন, দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
দেবীদ্বার গোমতী নদীর পাড়ে তাস (জুয়া) খোলার আসরে পুলিশ দেখে পালাতে যেয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারা গেল আক্কাস আলী(৫০) নামের এক যুবলীগ কর্মী। বুধবার বেলা আড়াইটার সময় ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের গোমতী নদীর ভেরী বাঁধের উপর।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা আড়াইটার সময় চান্দপুর গ্রামের নায়েব আলীর পুত্র আক্কাস আলীসহ ৫/৬ জন তাস খেলছিলেন, এদের মধ্যে কারিমুল (৩৬),সুৃমন মিয়া ( ২৮), হাবিব( ২৫), এনামুল( ২৫) এরা সবাই খেলার সাথে জড়িত ছিল।
এসময় বিএনপি ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা টহল পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় প্রবেশ করলে জুয়া খেলোয়াড়রা যার যার মতো পালাতে যেয়ে কেউ নদীতে ঝাপ দেন, কেউবা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। এসময় আক্কাস আলী পালাতে যেয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষণা করেন।
এ ব্যপারে নিহত আক্কাস আলীর ভাই জানান, আমার ভাইসহ কয়েকজন বাড়ির পাশে গোমতী পাড়ে তাস খেলছিল, এসময় পুলিশ দেখে পালাতে যেয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে অচেতন হয়ে মারা যান। আগামীকাল (২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় জানাযা দেয়া হবে।
৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ওই ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মাসুদ জানান, আক্কাস আলী আমার যুবলীগের একজন কর্মী ছিল। সে অসুস্থ্য ছিল, এর আগে দু’বার হার্ট এটাক করেছিল। তারা ৫/৬ জন নদীর পাড়ে তাস খেলছিল। পুলিশ দেখে ওরা ভাবছে ওদের ধরতে আসছে, ভয়ে পালাতে যেয়ে গাছের সাধে ধাক্কা খেয়ে আক্কাস মারা যায়।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, বিরোধি দলের ডাকা অবরোধে সহিংসতা রোধে আমার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় দায়িত্বরত ছিল। শুনেছি নদীর পাড়ে কিছু লোকজন তাস (জুয়া) খেলছিল। পুলিশ দেখে ওরা পালাতে যেয়ে একজন অসুস্থ একজন রোগী মারা গেছেন। আমার পুলিশ তখন ওখানে কি ঘটেছিল তা জানতে পারিনি, পরে তারা জেনেছে, আমিও শুনেছি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সাংসদের লরিতে বোমা নিক্ষেপ