বিদেশ ডেস্ক।।
ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদীদের শীর্ষ নেতা, যার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ রূপি, সেই শঙ্কর রাওসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন মাওবাদী। এনডিটিভি জানায়, মঙ্গলবার বিকালে কাঙ্কের জেলায় এ সংঘর্ষ হয়। মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনীর মধ্যে।
বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছেন তিন নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি একে-৪৭, তিনটি লাইট মেশিন গান-সহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগামী ১৯ এপ্রিলে ভারতে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে বস্তার জেলাতেও ভোটে নিরাপত্তার জন্য ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড়ে হয়েছে এ সংঘর্ষ।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর অভিযান শুরু হয়। ২০০৮ সালে ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দমনের জন্য গঠন করা হয়েছিল ডিআরজি। বিএসএফ এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ছোটেবেটিয়া থানার কালপার জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ডিআরজি এবং বিএসএফ।
নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসে। পাল্টা গুলি ছোড়ে নিরাপত্তারক্ষীরাও। আহত তিন নিরাপত্তারক্ষীর ২ জন বিএসএফ এর। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আহত তৃতীয়জন ডিআরজি’র। তার অবস্থা গুরুতর। তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত মাসেও ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক মাওবাদী নিহত হন। নিহত হন এক নিরাপত্তারক্ষীও। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক, বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। সে বার বিএসএফ এর সঙ্গে অভিযানে চালিয়েছিল ডিআরজি এবং বস্তার ফাইটার। দুটি বাহিনীই ছত্তিশগড় পুলিশের শাখা। গত ফেব্রুয়ারিতে এই কাঙ্কের জেলাতেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল তিন মাওবাদী।
গতবছর নভেম্বরেও রাজ্যটিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে একসঙ্গে এত বেশি মাওবাদী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল বহুদিন পর।
আরও পড়ুন: ইডি হেফাজতে আরও ৪ দিন কেজরিওয়াল