বিদ্যাপীঠ ডেস্ক।।
শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৬ মার্চ) রাত থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক দীন ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এছাড়াও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের ঘটনা নিয়ে অবগত ছিলাম না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সে যদি আসতো তাহলে ভিসি ম্যামের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতাম। বিষয়টি নিয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
আরও পড়ুন: জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রলীগ নেতার সনদ বাতিল