স্টাফ রিপোর্টার ।।
প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে অন্যায্য চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে চায় না, প্রতিবেশী দেশের অন্যায্য আচরণও মেনে নেবে না।’
মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পারের পাঁচটি জেলার ১১টি পয়েন্টে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে নিজেদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিবেশী দেশ শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলার মানুষকে নয়।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের ন্যায্যতা না দেয়, তাহলে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা প্রতিবেশীসুলভ আচরণের পরিপন্থী। ৫০ বছর ফারাক্কার অভিশাপ পোহানোর পর এখন তিস্তার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যান্য নদীগুলোরও পুনঃসংস্কার ও খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় চালু করা হবে।’
সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলকে ‘স্বৈরাচারী’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তে যেন ফ্যাসিস্ট সরকারের কেউ পুনর্বাসিত না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘তিস্তার পানি রক্ষার আন্দোলনের মতোই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে হবে—জাগো বাহে, বাংলাদেশ বাঁচাও।’