মডার্ন ক্রিকেটে ২৮৬ মানেই যেকোনো দল চাপে থাকে। তাই পাকিস্তানও ২৮৬ রান করে পাকিস্তান চাপেই পড়েছিল। তৃতীয় উইকেটে নেদারল্যান্ডস পাল্টা জবাব দিলে বাবর আজমদের ঘাম ছুটেছিল। শেষ পর্যন্ত ডাচদের সেই লড়াই থামিয়ে পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপ শুরু করলো জয় দিয়ে। শুক্রবার হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়েছে তারা।
লক্ষ্যে নেমে বিক্রমজিৎ ও বাস ডি লিডের জুটি পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। তাদের বিচ্ছিন্ন করতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস।
বিক্রমজিৎ ৬৭ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৫২ রান করেন। ৬৮ বলে ইনিংস সেরা ৬৭ রান করেন ডি লিড।
৭০ রানের এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস তাদের শেষ ৮ উইকেট হারায় ৮৫ রানের ব্যবধানে। ২ উইকেটে ১২০ রান করা ডাচরা গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে।
ষষ্ঠ ওভারে ম্যাক্স ও’ডউডকে (৫) শাহীন শাহ আফ্রিদির ক্যাচ বানান হাসান আলী। ২৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে দ্বিতীয় উইকেটও বড্ড তাড়াতাড়ি হারায় ডাচরা। দলীয় ৫০ রানে কলিন অ্যাকারম্যানকে (১৭) বোল্ড করেন ইফতিখার আহমেদ।
এরপর গড়ে ওঠে ডাচদের লড়াই। বিক্রমজিৎ ও ডি লিড দুই প্রান্ত অদলবদল করে রান বাড়াতে থাকেন। পাকিস্তানকে যেন চোখ রাঙাচ্ছিল এই জুটি। শেষ পর্যন্ত শাদাব খান বিক্রমজিৎকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। হারিস রউফ এক ওভারে জোড়া আঘাতে ডাচদের আর দাঁড়াতে দেননি।
শেষ দিকে লোগান ফন বিকের ২৮ রানের হার না মানা ইনিংসে দুইশ পার করে নেদারল্যান্ডস। ৪১তম ওভারের শেষ বলে পল ফন মিকেরেনকে আউট করে ডাচদের গুটিয়ে দেন হারিস।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন হারিস। দুটি উইকেট নেন হাসান আলী। শাহীন শাহ আফ্রিদি, ইফতিখার, নওয়াজ ও শাদাব একটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে, মাঠে নামছে বাংলাদেশ