খেলা ডেস্ক।।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর বাংলাদেশ দল আরও অনেক টি-টোয়েন্টি খেললেও সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের। তবে সেই মাহমুদউল্লাহকেই কুড়ি ওভারের ক্রিকেট অটোমেটিক চয়েস হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। চলমান বিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ফরচুন বরিশালের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই মাহমুদউল্লাহ বিস্ফোরক ব্যাটিং করছেন। যদিও ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারছিলেন না তিনি। সর্বশেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫১ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মূলত জয়ের পথটা তৈরি করে বরিশাল। আগে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ২৪ বলে ৫১ রানের এমন ইনিংস দেখে দারুণ খুশি জালাল ইউনুস।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুরে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কী বলবো। রিয়াদের ব্রিলিয়ান্ট পারফরম্যান্স। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে জায়গাটায় তার স্ট্রাইক রেট ছিল, দ্যাট ওয়াজ ফ্যান্টাসটিক। ওই স্ট্রাইক রেটেই তো সে আটোমেটিক্যালি চলে আসে টি-টোয়েন্টিতে। আর এখন তো প্রমাণ করছে। যে জায়গায় সে খেলছে, অটোমেটিক চয়েজ। এই মুহূর্তে সে চান্স পাবে কী পাবে না, এই প্রশ্নটা উঠছে না। হি ইজ ডুইং ওয়েল, পারফর্মিং ওয়েল। নাও হি হ্যাজ বিক্যাম অ্যা পারফর্মার। আমি তো মনে করি অটোমেটিকালি হি কামস ইনটু দ্য সাইড। দ্বিতীয় চিন্তার অবকাশ নেই।’
৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ চলতি বিপিএলের পাঁচ ম্যাচের দুটিতে অপরাজিত থেকে রান করেছেন ১০৪, স্ট্রাইক রেট ১৬৫.০৭। এই বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘বয়স ইজ নট অ্যা ফ্যাক্টর। আপনি ফিজিক্যালি হাউ মাচ ফিট দ্যাট ইজ ভেরি ইমপরট্যান্ট। অ্যান্ডারসন কিন্তু ৪১ বছর বয়সেও বোলিং করছে, টেস্টে করছে। কোনও খেলোয়াড় যদি নিজেকে ফিট রাখে, হি ক্যান কন্টিনিউ। যদি পারফর্ম করে তাহলে তো তাকে টিমে রাখতে অসুবিধা নেই। হি ইজ পারফর্মিং। বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সে প্রোঅ্যাক্টিভ। তাহলে হোয়াই নট। এখানে এইজটা বড় ফ্যাক্টর নয়।’
ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ শেষে জাতীয় দলের অনেক কোচিং স্টাফদের সাথেই চুক্তি নবায়ন করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে পেস বোলিংসহ অনন্য কোচিং স্টাফদের ব্যাপারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। অনেকে অ্যাপ্লাই করেছে। এখানে আমি আজ বসেছিলাম ডেভিড মুরের সঙ্গে। আমরা একটা কমিটি করেছি। এই কমিটিতে নাঈমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন ও আমি আছি। ডেভিড মুর আছে, সিইও আছে। মুর গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে এসেছেন। আজ বসেছিলাম। সবগুলোকে এক সঙ্গে করে শর্ট লিস্ট করা হচ্ছে। যদি কোনও মেম্বারের ফিডব্যাক দিতে হয়, তারা দিচ্ছে। এই কাজগুলো করে ফেলছি। আমরা দুই-তিনদিনের মধ্যে আবার বসবো। এরপর হয়তো ভার্চুয়ালি ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করবো।’
কবে নাগাদ চূড়ান্ত হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেছেন, ‘চেষ্টা করবো (শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে)। আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রক্রিয়াটা শেষ করতে পারবো। নতুন কেউ যদি অ্যাপয়েন্টেড হয়, তারা যেন দ্রুত কাজে নামতে পারে সে ব্যবস্থা করবো।’
আরও পড়ুন: ১৪৮ বল হাতে রেখেই নেপালকে হারালো বাংলাদেশ