স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ বুধবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কিছুদিন থেকে শ্যামলীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত সোয়া ১০টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
ড. রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাঈল জেলার এলাসিন গ্রামে। বাবা মরহুম আতিকুল হোসেন সিদ্দিকী। মা মরহুমা হাওয়া সিদ্দিকী। এসএসসি পাস করেন ১৯৬৮ সালে। বলতে গেলে তার পর থেকেই জীবন সংগ্রাম শুরু। ১৯৬৯ সালে করটিয়ার সা’দত কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার পড়াশোনা আপাত বন্ধ হয়ে যায়। হুলিয়া নিয়ে তিনি চলে যান চট্টগ্রামে তার চাচা মোফাখখর হোসেন সিদ্দিকীর আশ্রয়ে। এরপর রেজোয়ান সিদ্দিকী চলে আসেন ঢাকায়। জীবন সংগ্রামের এক ভিন্ন মাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই।
সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকেছেন ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক বাংলায়। প্রুফ রিডার হিসেবে শুরু করেছিলেন। সেখানে শেষে ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক। একই সাথে ছিলেন ফিচার এডিটর, সিনে সম্পাদক এবং সাহিত্য সম্পাদক। সাংবাদিকতার এমন কোনো পদ নেই, যে পদে কাজ করেননি তিনি। এখন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন চার বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯৭৩ সালে। ১৯৭২ সাল থেকেই ছোট গল্পকার ও কলাম লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন রেজোয়ান সিদ্দিকী। লেখাপড়া করেন সাহিত্যে। কিন্তু এইচএসসি পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি পিএইচডি অর্জন করেন ১৯৯৫ সালে। হল্যান্ডের আইএসএস (ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিজ) থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন বিষয়ে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা।
লেখক হিসেবে তার চরিত্র সব্যসাচীর। তিনি লিখেছেন, উপন্যাস, গল্প, নাটক, বিজ্ঞান, প্রকৃতি-পরিবেশ, ফিকশন, অনুবাদ, সংকলন-সব কিছু মিলে অর্ধশতাধিক বই।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার যাদের হাতে উঠছে