রাজধানী ডেস্ক।।
রাজধানীতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশদ্বার আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির করে বিএনপি নেতাসহ অন্তত ১০ জনকে আটকের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকে আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে চেকপোস্ট বসিয়ে এই তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুলিশ।
এদিকে সকাল থেকে শুরু হওয়া এই তল্লাশি অভিযানে দুটি মাইক্রোবাসসহ সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আটকের প্রকৃত সংখ্যাটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চেকপোস্ট থেকে আটক মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে ৩ জন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে আমার সমাবেশে যাওয়ার কথা, বাকিরা একজন আত্মীয়কে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে বাড়ি ফিরে যাবেন। কিন্তু চেকপোস্টে গাড়িসহ আমাদের ৪ জনকেই আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার নামে যে মামলাগুলো রয়েছে, তার সবগুলোতেই আমি জামিনে আছি। কেন আটকানো হয়েছে পুলিশ তাও বলছে না। একটা স্বাধীন দেশে কি এগুলো প্রত্যাশিত, এই যে হয়রানি করা হচ্ছে, এর কি কোনো যৌক্তিকতা আছে? যদিও চেকপোস্ট থেকে কাউকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টার দিকে চেকপোস্টের কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হলেও কিছু সময় পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নিয়মিত চেকপোস্ট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমাদের এই চেকপোস্ট তল্লাশি চলছে। তা ছাড়া রাজধানীতে দুটি দলের সমাবেশ রয়েছে, কাজেই কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে কারণে তল্লাশি কার্যক্রমে জোর দেয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, সকালে সন্দেহ হলে ‘সংবাদপত্র’ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস চেকপোস্টে থামানো হয়। পরে গাড়ি তল্লাশি করে ৬৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ব্যাঙের ছাতার মতো পুলিশ বক্স তৈরি করা হচ্ছে’