রাজধানী ডেস্ক।।
রাজধানীর ফার্মগেটের যে জায়গায় ঢাকা উড়ালসড়ক বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি পথ (লুপ) নেমেছে, সেখানে গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে যানজটে আটকে ছিলেন সেই পথে যাতায়াত করা ঢাকাবাসীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে ওই সব এলাকায় যানজট বাড়ার কারণ ঢাকা উড়ালসড়ক। গত ৩ সেপ্টেম্বর এই উড়ালসড়কের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু হয়। এরপর প্রতিদিন রাজধানীর উত্তরাংশ থেকে দিনে প্রায় পাঁচ হাজার যানবাহন দ্রুত ফার্মগেটে এসে নামছে। এসব যানবাহনের বড় অংশ খামারবাড়ি মোড় ঘুরে ফার্মগেট হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ধরে কারওয়ানবাজার, শাহবাগ ও অন্যান্য এলাকায় যাচ্ছে।
ঢাকার উত্তরাংশমুখী যানবাহন ঢাকা উড়ালসড়কে উঠতে বিজয় সরণি ও তেজগাঁওয়ের সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে যানজট বেড়েছে বিজয় সরণি, তেজগাঁও, সাতরাস্তাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। ট্রাফিক পুলিশের হিসাবে আগে থেকেই যানজটের কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হয় ঢাকার ১৫টি এলাকাকে। সেখানেও দিন দিন যানজট বাড়ছে।
সব মিলিয়ে ঢাকায় যানবাহনের গতি কমছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে গত সেপ্টেম্বরে প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহরের তালিকায় এখন ঢাকা শীর্ষে।
ঢাকার যানজট কমাতে অর্থ ব্যয়ে কার্পণ্য নেই। গত দুই দশকে রাজধানীতে ৯টি উড়ালসড়ক ও সমজাতীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। আরও একটির (ঢাকা উড়ালসড়ক) কাজ চলছে। এসব প্রকল্পে ব্যয় মোট ১৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। দু–একটি উড়ালসড়কের ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উড়ালসড়কগুলোতে ওঠার মুখে ও নামার সময় যানজটে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। কোনো কোনো উড়ালসড়ক দোতলা যানজটও তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই বিপুল ব্যয়ের সুফল কতটুকু।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা উড়ালসড়ক চালুর পর ফার্মগেট ও তেজগাঁও অংশে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে গতি ধীর হচ্ছে। এর প্রভাব আশপাশের এলাকায়ও পড়ছে। তিনি বলেন, এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া প্রকৌশলগত কিছু বিষয় আছে। সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা মহানগর দায়রা বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি