বিদেশ ডেস্ক ।।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও স্বাধীনতাপন্থি নেতা লাই চিং-তে। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে লাইয়ের ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। গত আট বছর ধরে তাইওয়ানের ক্ষমতায় রয়েছে ডিপিপি । তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডিপিপি-র সাই ইং ওয়েন। কিন্তু তিনি পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সংবিধান অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন সেটা মানে না। বরং তাইওয়ানকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে, যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।তাই লাই চিংকে নির্বাচিত না করতে ভোটের আগেই তাইওয়ানের ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তি’র মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছিল বেইজিং। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, তাইওয়ানের ভোটাররা চীনের সেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তাই দেননি। বর্তমান সরকারেরই ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাই চিংকেই ভোট দিয়েছেন তাইওয়ানের ভোটাররা।
নির্বাচনের আগে লাই-চিং কে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী ও স্বাধীনতাপন্থি উল্লেখ করে কঠোর সমালোচনা করেছিল চীন। চীন বলেছিল, তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার দিকে যেকোনো পদক্ষেপ মানেই যুদ্ধ। এ নিয়ে তাইওয়ানিজ ভাইস প্রেসিডেন্টের আলোচনায় বসার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল বেইজিং।
নির্বাচনে লাই চিং এর জয় পাওয়ার পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাইওয়ান হয়তো স্বাধীনতা পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। তাই আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সাফ জানিয়েছেন, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ভোটগ্রহণ শেষ, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফলাফল