বিদেশ ডেস্ক।।
বিষ প্রয়োগে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে তা উড়িয়ে দিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, দাউদ ইব্রাহিমের ওপর বিষ প্রয়োগ করেছে কেউ। তাতে তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিষয়টি মূলধারার সংবাদ মাধ্যমেও উঠে আসে। ছোটা শাকিল সেই খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, দাউদ ইব্রাহিম শতকরা ১০০০ ভাগ সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান আছেন। তিনি দাবি করেন সময়ে সময়ে উদ্ভট উদ্দেশ্যে এমন সব গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
এতে বলা হয়, পাকিস্তানি কিছু সাংবাদিকও টুইট করেন এ নিয়ে। তাদের রিপোর্টেও এসব গুজবের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়।
কিন্তু ছোটা শাকিল টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, এ খবর ভুয়া। পলাতক এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন বলেছেন, সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানে সাক্ষাৎ করেছেন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে। এ সময় তিনি দাউদ ইব্রাহিমকে পুরো সুস্থ দেখেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, দাউদ এখন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছে আছে।
অভিযোগ আছে কোনো এক সহযোগী তার ওপর বিষ প্রয়োগ করেছে। কিন্তু এমন আশঙ্কা প্রত্যাখ্যান করেছেন গোয়েন্দা সূত্রগুলো। এর মূল কারণ হলো, দাউদ ইব্রাহিম দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন পাকিস্তানের এজেন্সিগুলোর কঠোর নিরাপত্তার অধীনে। তার অনুগতরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাকে হাতিয়ার হিসেবে দেখে পাকিস্তান। দাউদের ওপর কড়া নজর রাখে আইএসআই। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির অধীনেও আছেন। ভারতের এসব অভিযোগের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর দাউদ ইব্রাহিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে থাকতে পারে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কারণ, তাকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সম্প্রতি। কিছু সূত্র বিশ্বাস করে, ২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে দাউদ ইব্রাহিমের ওপর আক্রমণ করতে পারে কেউ কেউ এমন আশঙ্কা পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের।
ওদিকে দাউদ ইব্রাহিমের এই রিপোর্টের সঙ্গে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের ক্রিকেটের কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াদাদকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ তিনি। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে হামলা হয় তার মূল হোতা দাউদ ইব্রাহিম। তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পাকিস্তান তার উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে মিসরের প্রেসিডেন্ট হলেন আবদেল ফাত্তাহ সিসি