খেলা ডেস্ক।।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নেদারল্যান্ডস ৫০ ওভারে ২২৯/১০ (ফন বিক ২৩*, ফন মিকেরেন ০
শরিফুল ইসলাম তার শেষ ওভারে নেদারল্যান্ডসের নবম উইকেট তুলে নেন। আগের বলে ছক্কা মেরে আরিয়ান দত্ত মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ হোন। পরের ওভারে লোগান ফন বিক মেহেদী হাসানকে টানা দুটি চার মারেন। তৃতীয় বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ বলে ফন মিকেরেনকে এলবিডব্লিউ করে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৭ রান তুলে নেয় ডাচরা। তাতে সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৯ রান। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩০ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ, মেহেদী।
ডাচদের অষ্টম উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ
৪৮তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে শারিজ দুটি রান নিতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। ডিপ থেকে মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে মুশফিকুর রহিম স্টাম্প ভেঙে দেন। ৬ রানে থামেন ডাচ ব্যাটার। নেদারল্যান্ডস ১৯৪ রানে হারালো ৮ উইকেট।
৫ বলের মধ্যে দুই উইকেট পেলো বাংলাদেশ
দুই সেট ব্যাটারকে ৫ বলের মধ্যে ফেরালো বাংলাদেশ। ৪৫তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান আউট করেন স্কট এডওয়ার্ডস। পরের ওভারে মেহেদী হাসান এলবিডব্লিউ করেন এঙ্গেলব্রেখটকে। ৩৫ রান করেন তিনি। কোনও রান যোগ না হতেই দুটি উইকেট পড়লো ডাচদের। ১৮৫ রানে তাদের ৭ উইকেট নেই।
এডওয়ার্ডসকে জীবন দিয়েছেন লিটন-মুশফিক
১৬তম ওভারের কথা। তখন পঞ্চম উইকেটটিও পেতে পারতো বাংলাদেশ। তাহলে ডাচদের আরও চেপে ধরা যেত। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে দুবার জীবন পেয়েছেন ডাচ অধিনায়ক। শুরুতে গালিতে ক্যাচ ফেলেছেন লিটন দাস। তার পর গ্লাভসে বল জমাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।
মোস্তাফিজের পর সাকিবের আঘাতে আবার চাপে নেদারল্যান্ডস
বারেসিকে আউট করার পরের ওভারে অ্যাকারম্যানকেও থিতু হতে দেননি সাকিব। তার স্পিনে সুইপ করতে গিয়ে ১৫ রানে মোস্তাফিজের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন এই ব্যাটার।
বারেসি-অ্যাকারম্যানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। শুরুর ধাক্কার পর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে খেলছিলেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন অ্যাকারম্যান। ৫৯ রানের জুটিও গড়েন তারা। পাওয়ার প্লেতে তাদের জুটিতে যোগ হয়েছে ৪৭ রান। আক্রমণে এসে ১৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪১ বলে ৮ চারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন বারেসি। তাকে ৪১ রানে সাকিবের তালুবন্দি করিয়েছেন কাটার মাস্টার।
তাসকিনের পরের ওভারে উইকেট নিলেন শরিফুল
ওপেনার বিক্রমজিতকে আউট করে শুরুতে ডাচদের চাপে ফেলার চেষ্টায় সফল বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় উইকেটটি তুলে নেন শরিফুল। শরীরের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। তাতে রানের খাতা খুলবার আগেই আউট হয়েছেন ডাচ ব্যাটার।
দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিনের আঘাত
চোটের কারণে শেষ দুই ম্যাচে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। ডাচদের বিপক্ষে ফিরেই নিজের দক্ষতা দেখালেন এই পেসার। দ্বিতীয় ওভারে বিদায় দিয়েছেন ডাচ ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংকে (৩)। ফ্লিক করতে গেলে বল লিডিং এজ হয়ে উঠে যায় আকাশে। ক্যাচটি নিয়েছেন সাকিব।
টস জিতেছে নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। বাদ পড়েছেন হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ। দলে ঢুকেছেন শেখ মেহেদী ও তাসকিন আহমেদ।
বিশ্বকাপে দুই দলই একই অবস্থানে। ৫ ম্যাচে হেরেছে চারটি। জয় একটি করে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
নেদারল্যান্ডস একাদশ: ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, ওয়েসলে বারেসি, কলিন অ্যাকারম্যান, স্কট এডওয়ার্ডস, বাস ডি লিড, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, লোগান ফন বিক, শারিজ আমহেদ, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকারেন।
তেত্রিশ বছর পর ইডেনে খেলছে বাংলাদেশ
ইডেনে তেত্রিশ বছর পর নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। কলকাতার এই মাঠে বাংলাদেশ এর আগে একটি ওয়ানডে খেলেছে। ১৯৯০ এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭১ রানে হেরেছে তারা। ৩৩ বছর পর সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে আরও একবার বাংলাদেশ খেলতে নামছে।
বিশ্বকাপে এর আগে একবারই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের। ২০১১ বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক বাংলাদেশ চট্টগ্রামে ডাচদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে। তবে দলটির বিপক্ষে ওয়ানডেতে হারও আছে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের বাইরে এই ফরম্যাটে একবারের সাক্ষাতে ২০১০ সালে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেট হারিয়ে দিয়েছিল ডাচরা।
আরও পড়ুন: টস জিতে বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড, ওয়ার্নার-হেডের তাণ্ডব