খেলা ডেস্ক।।
স্কোর: বাংলাদেশ- ৪২.২ ওভারে ১৪২/১০ (শরিফুল ০*, তাসকিন ১১, মোস্তাফিজ ২০, মাহমুদউল্লাহ ২০, মেহেদী ১৭, মুশফিক ১, মিরাজ ৩৫, সাকিব ৫, শান্ত ৯, লিটন ৩, তানজিদ ১৫)
নেদারল্যান্ডস: ৫০ ওভারে ২২৯/১০ (ফন বিক ২৩*, ফন মিকেরেন ০, আরিয়ান ৯, শারিজ ৬, এঙ্গেলব্রেখট ৩৫, স্কট এডওয়ার্ডস ৬৮, বিক্রমজিৎ ৩, ম্যাক্স ও’ডাউড ০, বারেসি ৪১, অ্যাকারম্যান ১৫, বাস ডি লিড ১৭)
ফল: ৮৭ রানে নেদারল্যান্ডসের জয়।
মাহমুদউল্লাহও হতাশ করলেন
বাস ডি লিড দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে বাংলাদেশের শেষ ভরসা মাহমুদউল্লাহকে ফেরালেন। ৪১ বলে ২০ রান করে মিডউইকেটে আরিয়ান দত্তের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। ১১৩ রানে বাংলাদেশ হারালো ৮ উইকেট। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারার পর তার ব্যাটেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ম্যাচে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে মাহমুদউল্লাহ একাই লড়াই করে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন।
ভেঙে গেলো মাহমুদউল্লাহ-মেহেদীর জুটি
মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসানের জুটিতে বাংলাদেশ একশ ছাড়ায়। তাদের দুজনের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিল বাংলাদেশ। তারা দুজনে মিলে ৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি। দলীয় ১০৮ রানে মেহেদী রান আউট হন। ১৭ রান করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ-মেহেদী জুটিতে বাংলাদেশের একশ
পল ফন মিকেরেনের তোপে বাংলাদেশ ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায়। তবে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে তারা একশ ছাড়িয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান ২৮তম ওভারে দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে নেন।
মিকেরেনের বলে তছনছ বাংলাদেশ
চার ওভারের তিনটির প্রত্যেকটিতে উইকেট উদযাপন করলেন পল ফন মিকেরেন। সবশেষ মুশফিকুর রহিমকে মাত্র ১ রানে বোল্ড করলেন নেদারল্যান্ডসের পেসার। ৭০ রানে ছয় উইকেট নেই বাংলাদেশের। এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান মিকেরেন। ১১ থেকে ২০ ওভারে ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ছয় বলের মধ্যে সাকিব ও মিরাজের বিদায়
১৬তম ওভারের শেষ বলে পল ফন মিকেরেন ৫ রানে সাকিব আল হাসানকে স্কট এডওয়ার্ডসের ক্যাচ বানান। পরের ওভারে বাস ডি লিড পঞ্চম বলে একইভাবে মেহেদী হাসান মিরাজকেও ফেরান। ৪০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ৬৯ রানে নেই ৫ উইকেট।
পঞ্চাশের আগেই বাংলাদেশের তিন উইকেট নেই
১৯ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে এই ধাক্কা ভালোভাবে সামলাতে পারেনি। পাওয়ার প্লের স্কোরই তার প্রতিচ্ছবি। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯ রান করে তারা। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু তাদের জুটি ভেঙে গেলো ২৬ রানে। শান্ত ৯ রান করে ১২তম ওভারে বিদায় নেন। পল ফন মিকেরেন তাকে লোগান ফন বিকের ক্যাচ বানান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৫৯ রান করা শান্ত পরের পাঁচ ম্যাচের কোনোটিতে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। দলীয় ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
হতাশ করলেন লিটন-তানজিদ
তানজিদ হাসান তামিম তিন চারে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বড় করতে পারেননি ইনিংস। এমনকি আরেক ওপেনার লিটন দাসের বিদায়ের পরও হাল ধরতে ব্যর্থ তিনি। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৯ রানে লিটনকে (৩) স্কট এডওয়ার্ডসের ক্যাচ বানান আরিয়ান দত্ত। পরের ওভারে তানজিদ ১৬ বলে ১৫ রান করে একইভাবে লোগান ফন বিকের শিকার হন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে থামালো বাংলাদেশ