স্টাফ রিপোর্টার।।
চট্টগ্রামে আগুন লাগা এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল ও গুদামে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না বলে জানা গেছে। ওই চিনির গুদামের আগুন এখনও নেভেনি। তবে আগুনে গুদাম পুড়লেও রক্ষা পেয়েছে পাশাপাশি থাকা মূল কারখানা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, ‘আগুন থেকে মূল কারখানা রক্ষা করা গেছে। তবে একটি গুদামে থাকা অপরিশোধিত চিনি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগা গুদামটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে আগুন লাগার পর নেভানো সম্ভব হয়নি।’
ঘটনাস্থলে থাকা বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘গুদামে যে পরিমাণ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা ছিল, এখানে তা নেই। যে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।’ এদিকে গুদামটির আগুন নেভার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নেভেনি। পুরোপুরি নিভতে সময় লাগবে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট কাজ করছে। গুদামটির চারপাশ থেকে পানি দেওয়া হচ্ছে। টিন খুলে ফেলা হচ্ছে।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, ‘গুদামে যে পরিমাণ ফায়ার সেফটি প্রয়োজন তা আছে। একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবই পুড়ে গেছে। এখনও আগুন জ্বলছে। গুদামটির সঙ্গে লাগানো ছিল মূল কারখানা। তবে কারখানাটি রক্ষা পেয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে কারখানা বন্ধ রয়েছে। আগুন কীভাবে লেগেছে সে সম্পর্কে আমরা অবগত নই। প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের হিমাগারের আগুন তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে