রাজনীতি ডেস্ক।।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এবং রংপুর-৩ (সদর) ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী জিএম কাদেরের গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে তিন গুণ। তার স্ত্রীর বেড়েছে দ্বিগুণ। পাঁচ বছর আগে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করলেও এখন তিনি ৮৪ লাখ টাকারও বেশি দামের বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। এ ছাড়া জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা সম্পদবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা হলফনামায় জিএম কাদের উল্লেখ করেছিলেন তার নগদ অর্থ রয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ টাকা। গত পাঁচ বছরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৩ টাকায়। যা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ১৯৯৮ সালের নির্বাচনের সময় জিএম কাদের তার স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭০১ টাকা। পাঁচ বছরে সেই অর্থের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৩ টাকা।
এ ছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জমা ছিল ১৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৩ টাকায়। তার স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ২৫৮ টাকা। তা ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৩৫৯ টাকা। জিএম কাদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট সদর আসনের প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন কৃষি, বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র এবং চাকরিতে তার কোনও বার্ষিক আয় নেই। এবার তিনি তার নির্ভরশীলদের বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে আয় দেখিয়েছেন ১১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, আর ব্যবসা থেকে পান ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রংপুর-৩ ও ঢাকা ১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে হলফ নামায় উল্লেখ করেছেন বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৩ লাখ টাকা, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকা আর তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে ৪০ লাখ টাকা দামের প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করতেন বলে উল্লেখ করেন। এবার তিনি ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৫ টাকার গাড়ি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে তার স্ত্রী শেরীফা কাদের পাঁচ বছর আগে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি ব্যবহার করলেও এখন পাঁচ গুণ বেশি মূল্যের ৮০ লাখ টাকার বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তবে পাঁচ বছরে নিজের ও স্ত্রীর নামে জমি, বাড়ি ও স্বর্ণালঙ্কার বাড়েনি বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।