বিদেশ ডেস্ক।।
উত্তর পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালিতে পাক বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালালো সন্ত্রাসীরা। হামলার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পাল্টা জবাবে তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে। হামলার বিষয়ে পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, “শনিবার ভোরে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পড়ে মিয়ানওয়ালির বায়ুসেনা ঘাঁটি। সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বড় নাশকতার ছক ভেস্তে দেন পাক জওয়ানরা। হামলাকারীদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয় তাদের।
৩ জঙ্গিকে ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালানোর আগেই খতম করে দেয় পাক সেনা। বাকি আরও ৩ জঙ্গিদের নিকেশ করতে এখনও লড়াই করছেন জওয়ানরা।” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তালেবান-সংযুক্ত গ্রুপ তেহরিক-ই-জিহাদ হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলাকারীদের নির্মূল করা হয়েছে এবং ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চলছে। দাবি অনুযায়ী, হামলাকারীরা একটি মই ব্যবহার করে এয়ারবেসের দেয়াল দিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। হামলায় বিমান বাহিনী ঘাঁটির ভেতরে পার্ক করা একাধিক বিমান ধ্বংস হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা হলেও তারা একে ‘ব্যর্থ সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে।শুক্রবারই পাকিস্তান ডেরা ইসমাইল খান শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
যার ফলে মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত হন ২১ জন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই হামলায় দায় স্বীকার করেনি কেউ। যে অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মূলত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকা। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র কর্তৃক জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বিষয়ে একমত প্রেসিডেন্ট ও সিইসি