খেলা ডেস্ক।।
শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফকে নিয়ে গড়া পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস আক্রমণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একজন ইনজুরিতে পড়েন, আর দুজন তাদের ধারালো হয়ে বিশ্বকাপে পা রেখেও ছিলেন নিষ্প্রভ। হতাশার এক আসরের পর চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার একমাস আগেই পদত্যাগ করলেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিং কোচ মর্নে মরকেল। সোমবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পিসিবি ঘোষণা দেয়, বিশ্বকাপে বাবর আজমদের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার। কী কারণে তার এই সিদ্ধান্ত, সেটা জানায়নি বোর্ড। শিগগিরই মরকেলের স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করা হবে।
কোচিং স্টাফ দলে বড় ধরনের অদলবদলের অংশ হিসেবে গত জুনে নিযুক্ত হন মরকেল। তারই স্বদেশী মিকি আর্থারও ফেরেন টিম ডিরেক্টর হয়ে। মরকেলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরে, যেখানে পাকিস্তান ২-০ তে টেস্ট সিরিজ জেতে। তারপর শ্রীলঙ্কাতেই তিন ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয় তারা।
তবে এশিয়া কাপে হতাশ করে পাকিস্তান। ইনজুরিতে পড়েন হারিস রউফ ও নাসিম শাহের মতো তারকা পেসাররা। ফাস্ট বোলিং বিভাগে তার প্রভাব ভালোভাবে পড়েছিল, ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় বাবররা। পরে তো কাঁধের চোট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন নাসিম।আর বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম দুটি ম্যাচ জিতলেও টানা চার ম্যাচে হেরে যায়। পরের দুটি ম্যাচে জয় পেলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেয় তারা।
চার জয় ও পাঁচ হারের হতাশা নিয়ে দেশে ফেরে পাকিস্তান দল। তবুও ধারণা করা হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়া মরকেল চুক্তির মেয়াদ শেষ করেই যাবেন। কারণ সামনেই অস্ট্রেলিয়া সফর। পাকিস্তানের পরের অ্যাসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে তিন টেস্ট খেলবে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হিসেবে মরকেলের কাছ থেকে কিছু সুযোগ সুবিধা আদায় করতে পারতো তারা।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ডোনাল্ডকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর পোস্ট