বিদেশ ডেস্ক।।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি থানায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জঙ্গি হামলায় ২৩ সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, একটি বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক চালিয়ে থানাটিতে হামলা করে জঙ্গিরা। এটিকে বেস ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল পাকিস্তানি সেনারা। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী আইনশৃঙ্খলা দুর্বল থাকা উপজাতি অঞ্চলের ডেরা ইসমাইল খান জেলায় বোমা ও বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
একটি ছয় সদস্যের আত্মঘাতী স্কোয়াড ওই সামরিক শিবিরে একটি বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক চালায়। এতে কমপক্ষে ২৩ সেনা নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী বলেছে, চলতি বছরে দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একক হামলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে এ হামলায়।এর আগে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা ২৪ উল্লেখ করেছিলেন।
দেশটির উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধির মধ্যে আসন্ন ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রবেশের চেষ্টা কার্যকরভাবে ব্যর্থ করা হলে সন্ত্রাসীরা একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িকে পোস্টে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।’
বিস্ফোরণের ফলে ভবনটি ধসে পড়ে। এতে একাধিক সেনা হতাহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মকর্তা আইজাজ মেহমুদ। সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, এই অঞ্চলে বিভিন্ন অভিযানে ২১ জঙ্গিসহ দুই সেনা নিহত হওয়ার একদিন পরই এই হামলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার। পৃথক একটি বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী ও তাহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান (টিজেপি)। এই গোষ্ঠীটি তাহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রধান ইসলামপন্থি এবং সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ডনাল্ড লু’র নির্দেশেই সব করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান, ইমরানের বিস্ফোরক দাবি