বিদেশ ডেস্ক।।
সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর চলছে গণনা। কয়েক ঘণ্টা পরই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল আসতে শুরু করবে।শুক্রবার সকাল নাগাদ চূড়ান্ত ফলাফলের আশা করা হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ পার্টির নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। নির্বাচনে দেশটির বিরোধীদল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান ইমরান খান অংশ নিতে পারেননি। এই নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
তবে তারা প্রথাগত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও অতীতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়েছেন। শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গত আগস্ট পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভুট্টো।ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা সংসদের নিম্নকক্ষে ২৬৬টি আসন দখলের জন্য ৪৪টির মতো রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ৩৩৬ আসনের মধ্যে বাকি ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত।
নির্বাচনের পর নতুন সংসদ দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। পৃথকভাবে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে চারটি প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। নির্বাচনি সহিংসতায় নয় জন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিমে ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে কয়েকটি স্থল সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে সাময়িক স্থগিত রয়েছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট সেবাও। কারাগার থেকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। এর আগে, তিনি সমর্থকদের প্রতি ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। গত বছর ইমরানকে গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টায় বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ভাঙচুর ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তার সমর্থকরা। ফলে যে কোন সময় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু, সারাদেশে বন্ধ মোবাইল পরিষেবা