স্টাফ রিপোর্টার।।
বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছরেও বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হয়নি। দেশের ইতিহাসে আলোচিত এ ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি এখনো জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণে আটকে। হত্যা মামলার আপিল শুনানি আর বিস্ফোরক আইনের মামলার সাক্ষ্য কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত করেও কেউ বলতে পারছেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, আসামি ও সাক্ষীর দিক থেকে এটি অনেক বড় মামলা। তাই আপিল শুনানিতে কয়েক মাস লাগতে পারে। যে কারণে আপিল বিভাগের আলাদা একটি বেঞ্চ করতে হবে। হয়ত অচিরেই বেঞ্চ হবে, তখন শুনানি শুরু হবে।চলতি বছরই এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাই কোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
হাই কোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাই কোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: ‘মানুষ বাদ দিয়ে উন্নয়ন’ চায় না কামরাঙ্গীরচরবাসী