সৈয়দ হাসসান ।।
আজ মেক্সিকোর বিশ্বখ্যাত চিত্রকর ফ্রিদা কাহলোর জন্মদিন। চিত্রকলা, জীবনযাপন, ও প্রেম— সব মিলিয়ে তিনি শিল্পানুরাগীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছেন। তাঁর জীবনের নানা দিক এবং দিয়েগো রিভেরার সাথে সম্পর্কের জটিলতা এখনও মুগ্ধ করে সবাইকে। ফ্রিদা কাহলোর এই বিস্ময়কর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আজ তুলে ধরা হলো।
ফ্রিদা কাহলোর জীবন ছিল বর্ণাঢ্য এবং সংগ্রামের মহাকাব্য। ১৯০৭ সালের ৬ জুলাই মেক্সিকোয় জন্ম নেওয়া ফ্রিদা শৈশবে পোলিও এবং পরবর্তী সময়ে এক ভয়ানক দুর্ঘটনার ফলে শারীরিকভাবে আহত হন। এই কঠিন সময়ে চিত্রকলায় মনোনিবেশ করেন তিনি।
ফ্রিদার জীবনের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো দিয়েগো রিভেরার সাথে তাঁর সম্পর্ক। দিয়েগো ছিলেন মেক্সিকোর বিখ্যাত চিত্রকর এবং ফ্রিদার চেয়ে ২০ বছরের বড়। তাঁদের সম্পর্ক ছিল জটিল, আবেগপূর্ণ, এবং প্রায়ই অস্থিরতাপূর্ণ। ১৯২৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয় এবং তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাম সবই ছিল।
ফ্রিদার চিত্রকর্মের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো “দ্য টু ফ্রিদাস,” যা তাঁর জীবনের দ্বৈততা এবং দিয়েগোর সাথে সম্পর্কের প্রতিফলন। এ চিত্রকর্মে দুটি ফ্রিদাকে দেখা যায়—একটি মেক্সিকান ফ্রিদা এবং অপরটি ইউরোপীয় ফ্রিদা। চিত্রকর্মটি তাঁর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার প্রতীক।
ফ্রিদা কাহলোর শিল্পকর্ম এবং তাঁর জীবনযাপন নারীবাদ, জাতীয়তাবাদ, এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্রিদা কাহলো এবং দিয়েগো রিভেরার সম্পর্ক জটিল, অস্থিরতাপূর্ণ হলেও, তাঁরা একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারেননি। ফ্রিদার চিত্রকর্ম, জীবন, এবং দিয়েগোর সাথে তাঁর সম্পর্ক এখনও মানুষকে মুগ্ধ করে। ফ্রিদা কাহলো আজও একজন আইকন হিসেবে রয়েছেন, যিনি তাঁর শিল্প ও সংগ্রামের মাধ্যমে যুগে যুগে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।