খেলা ডেস্ক।।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৫.১ ওভারে ২০৪/১০ (শরিফুল ১*, মোস্তাফিজ ৩, তাসকিন ৬, মিরাজ ২৫, সাকিব আল হাসান ৪৩, তানজিদ ০, নাজমুল শান্ত ৪, মুশফিক ৫, লিটন দাস ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, তাওহীদ ৭)
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে তোপের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। কোনো ব্যাটার করতে পারেনি বড় স্কোর শাহীন শাহ আফ্রিদির আঘাতে তছনছ হয়ে যায় তারা। ২৩ রানের মধ্যে তানজিদ হাসান (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪) ও মুশফিকুর রহিম (৫) বিদায় নেন। শঙ্কার কালো মেঘ জমে বাংলাদেশের আকাশে। কিন্তু লিটন দাস দাঁড়িয়ে যান মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। চতুর্থ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। লিটনকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি ইফতিখার। ৬৪ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করে আগা সালমানকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের ওপনার।
তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ক্রিজে থেকে হাফ সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। তারপর বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ৭০ বলে ৫৬ রানে আফ্রিদির কাছে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ।
তাওহীদ হৃদয় (৭) এবারও ব্যর্থা। উসামা মীরের বলে ইফতিখারের ক্যাচ হন। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন সাকিব। ইফতিখারকে টানা তিন চার মেরে আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু ৪৩ রানে তাকে থামতে হয়। হারিস রউফের শর্ট বলে আগাকে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দেন সাকিব।
দলীয় স্কোর দুইশতে পৌঁছাতেই মোহাম্মদ ওয়াসিমে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। এই পেসার তার সাত বলে শেষ তিন উইকেট তুলে নেন। মিরাজ (২৫), তাসকিন (৬) ও মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩) বোল্ড করেন ওয়াসিম।
৪৫.১ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ২০৪ রানে। আফ্রিদি ও ওয়াসিম তিনটি করে উইকেট নেন।
নিজের সাত বলে তিন উইকেট নিলেন ওয়াসিম
৪৪তম ওভারে জোড়া আঘাত হানলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। তারপর তৃতীয় বলেও তাসকিন আহমেদকেও বোল্ড করেন পাকিস্তানের পেসার। পরের ওভারের প্রথম বলে তার ইয়র্কার মোস্তাফিজুর রহমানের পায়ে লেগে স্টাম্পে আঘাত করে। নিজের সাত বলে তিন উইকেট তুলে নেন ওয়াসিম। ২০৪ রানে সব উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
ওয়াসিম ও শাহীন শাহ আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন, দুটি পান হারিস রউফ।
শর্ট বলে ৭ রানের আক্ষেপে পুড়লেন সাকিব
ইফতিখার আহমেদকে টানা তিন চার মেরে রান বাড়িয়ে নেন সাকিব আল হাসান। ফিফটি উদযাপনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কিন্তু শর্ট বলের দুর্বলতা কাজে লাগালো পাকিস্তান। হারিস রউফের বলে মিডউইকেটে আগা সালমানের সহজ ক্যাচ হন সাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ক করেন ৪৩ রান। ৬৪ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৫ রানের।
শুরুর ধাক্কা সামলানো হলোনা
ব্যক্তিগত ৪৬ রানে ইফতিখারের বলে ক্যাচ উঠিয়ে আউট হন লিটন দাস। লিটনের আউটে ৮২ রানের জুটি ভাঙলো মাহমুদউল্লাহ্র সঙ্গে। মাঠে নেমেছেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছে ব্যক্তিগত ৪৭ বলে।
শুরুর ধাক্কা সামাল দিচ্ছেন লিটন-মাহমুদউল্লাহ
২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ছেন মাহমুদউল্লাহ ও লিটন। এ উইকেট যে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন, মোটেও তা নয়। ধীরগতির হলেও শট খেলার সুযোগ মিলছে ভালোভাবেই। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা ১৫তম ওভারটি অবশ্য হয়েছে মেডেন। এরপর উসামাকে টেনে তুলে মারতে চেয়েছিলেন লিটন, লং অফে দৌড়ে আসতে থাকা হারিসের একটু সামনেই অবশ্য পড়েছে সেটি। লিটন নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন তাতে, শটটি নিয়ন্ত্রিত ছিল না মোতেও।
দুজনের জুটিতে ভর করে একশো পার হলো বাংলাদেশের।
৩ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭
যে লক্ষ্যে শুরুতে সাকিব ব্যাটিং নিয়েছেন সেটির ছাপ রাখতে পারেননি ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই দ্রুত সময়ে হারিয়েছে টপ অর্ডারের তিন উইকেট। শুরু থেকে শুধু প্রান্ত আগলে খেলছেন লিটন দাস। প্রমোশন পেয়ে তার সঙ্গী হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৩৭।
মুশফিকের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ
ষষ্ঠ ওভারে প্রথমে আক্রমণে আসেন পেসার হারিস রউফ। এসেই লিটনের হাতে মার খেতে থাকেন তিনি। টানা দুই বলে হজম করেন বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে নতুন নামা মুশফিকও বাউন্ডারি মারেন। কিন্তু ষষ্ঠ বলে ভুল করে বসেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। চাপের মুহূর্তে অফস্টাম্পের বাইরের গুড লেংথের বলটি ঠিকমতো ব্লক করতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে রিজওয়ানের গ্লাভসে। মুশফিক ফিরেছেন ৫ রানে।
পাকিস্তান একাদশ
ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, উসামা মির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় আফগানিস্তানের