খেলা ডেস্ক।।
চতুর্থ দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড-দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯.৪ ওভারে ১৩৯/৬ ( স্যান্টনার ৩৫*, ফিলিপস ৪০*; মিচেল ১৯, ব্লান্ডেল ২, ল্যাথাম ২৬, নিকোলস ৩, কনওয়ে ২, উইলিয়ামসন ১১); লক্ষ্য ১৩৭।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।

সকালে মুমিনুলের আউটে ভাঙে প্রতিরোধ। ঢাকাবার্তা।।
ম্যাচসেরা: গ্লেন ফিলিপস (৩১ রানে ৩ উইকেট, ৮৭ ও ৪০ রান); সিরিজ সেরা: তাইজুল ইসলাম (২৮ রান ও ১৫ উইকেট)
বাংলাদেশ- দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪.৫ ওভারে ১৪৪ ( তাইজুল ১৪*; শরিফুল ৮, জাকির ৫৯, নাঈম ৯, সোহান০, মিরাজ ৩, শাহাদাত ৪, মুশফিক ৯, মুমিনুল ১০, শান্ত ১৫, জয় ২); বাংলাদেশের লিড ১৩৬।
নিউজিল্যান্ড- প্রথম ইনিংসে ৩৭.১ ওভারে ১৮০/১০ (এজাজ ০*, সাউদি ১৪, ফিলিপস ৮৭, জেমিসন ২০, স্যান্টনার ১, মিচেল ১৮, ব্লান্ডেল ০, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১);
বাংলাদেশ- প্রথম ইনিংসে ৬৬.২ ওভারে ১৭২/১০ (নাঈম ১৩*, শরিফুল ১০, তাইজুল ৬, মিরাজ ২০, সোহান ৭, দীপু ৩১, মুশফিক ৩৫, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, জয় ১৪, জাকির ৮)
স্লিপে শূন্য রানে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ ফেলেছিলেন শান্ত। এই ক্যাচ মিসই কাল হলো বাংলাদেশের। এই কিউই ব্যাটারের প্রতিরোধে দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনে কিউইদের ৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পেরেছিল স্বাগতিক দল। তার আগে পঞ্চম উইকেট হিসেবে ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে ফিলিপসের উইকেটটিও নেওয়ার সুযোগ এসেছিল। সেটি করতে পারলে জয়ের পথে আরও একটু এগিয়ে যেতে পারতো তারা। কিন্তু সেটা করতে না পারায় এই ফিলিপসই বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে জয় কেড়ে নিয়েছেন। তৃতীয় সেশনে স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি। পরে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন এই জুটিতেই কিউইরা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
সকালে বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল সেটি পূরণ হয়নি। ১৩৭ রানের ছোট লক্ষ্য দিতে পেরেছে। তার পরেও এই ছোট পুঁজিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটা বাংলাদেশ জমিয়ে তুলতে পেরেছিল। তাইজুল-মিরাজরা দারুণ বোলিং শুরু থেকেই সফরকারীদের চাপে ফেলার কৌশলে সফল ছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় চাপটা অব্যাহত রাখতে পারেনি। এই পরাজয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাতে পেরেছে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ ৫২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৫৮ রানে দুটি নিয়েছেন তাইজুল। একটি নিয়েছেন শরিফুল।
ম্যাচটা জমিয়ে তুলে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় ঢাকা টেস্ট। বাংলাদেশ মাত্র ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিলেও দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছে। চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৯০। সফরকারীদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৭ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৪ উইকেট।
মিচেলকে ফিরিয়েছেন মিরাজ
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে জয়ের একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ড্যারিল মিচেলকে ফিরিয়ে তুলে নিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। মিরাজের বলে গ্লাভসে লেগে ক্যাচ উঠেছিল মিচেলের। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে মিলেছে সাফল্য। মিচেল ১৯ রানে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ
ল্যাথামকে ফেরানোর পর প্রতিরোধ আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের। দ্রুত আউট হয়েছেন টম ব্লান্ডেল। তাকে ২ রানে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন তাইজুল। তাতে ৫১ রানে কিউইদের ৫ উইকেট তুলে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ।
ল্যাথামকে বিদায় দিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ
শুরু থেকেই কিউইদের জুটি গড়তে দেয়নি স্বাগতিক দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশলে সফল হয়েছে। তাতে ফেরানো গেছে শুরু থেকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় থাকা ওপেনার টম ল্যাথামকে। মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ল্যাথাম ফেরার আগে করেছেন ২৬। একই ওভারের শেষ বলে নতুন নামা ব্লান্ডেলকেও এলবিডাব্লিউতে ফেরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে গেছেন তিনি।
তৃতীয় উইকেট তুলে কিউইদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা ছোট হলেও তৃতীয় উইকেট তুলে কিউইদের চাপে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। কেন উইলিয়ামসনের আউটের পর দ্রুত হেনরি নিকোলসকেও সাজঘরে পাঠিয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন কিউই ব্যাটার। ফেরার আগে করেছেন ৩ রান। অবশ্য আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থও হয়েছে স্বাগতিকরা। ল্যাথামের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন করলেও সাফল্য মেলেনি তাতে।
উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল
পাঁচ রানে শরিফুলের আঘাতে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট। তার পর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথাম। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল। দারুণ এক ডেলিভারিতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন বামহাতি স্পিনার। তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে যাওয়ায় উইলিয়ামসন স্টাম্পড হয়েছেন। ফেরার আগে ১১ রান করেছেন তিনি।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই শরিফুলের আঘাত
লক্ষ্য ছোট হলেও কিউইদের ওপর শুরুতেই চাপ তৈরির চেষ্টায় সফল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ওপেনার ডেভন কনওয়েকে এলবিডাব্লিউতে আউট করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথম থেকেই এই পেসারের পেসে ভুগছিলেন কনওয়ে। লাঞ্চ বিরতিতে থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারেই কাটা পড়লেন তিনি। পুরোপুরি পরাস্ত কনওয়ে ২ রানে সাজঘরে ফিরেছেন।
ছোট পুঁজি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট করে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪ রান যোগ করেছেন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। তবে শরিফুলের দারুণ বোলিং তাদের ভোগান্তিতে ফেলেছিল। সাফল্য আসেনি যদিও। কিউইদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৩। হাতে আছে ১০ উইকেট।
কিউইদের ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ
যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল তাতে মোটেও সফল হয়নি তারা। কিউই স্পিনে খেই হারিয়েয়েছে। এক জাকির হাসান ছাড়া কেউ প্রতিরোধ গড়ার মতো ব্যাটিং করতে পারেননি। তার ফিফটি (৫৯) ছোঁয়া ইনিংসেই মূলত বাংলাদেশ কিউইদের ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানে।
সকালে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মুমিনুল-জাকির জুটি। মুমিনুল আউট হতেই ভেঙে পড়ে প্রতিরোধ। এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জাকিরের বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল, শরিফুল। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি মারাতে লিড ১৩৬ রানে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে মূল আঘাতটা হেনেছেন বামহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।
আরও পড়ুন: ৭১ টিভিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন মুশফিক