খেলা ডেস্ক।।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৭ ওভারে ২৩৩/ (শরিফুল ৬, মোস্তাফিজ ১৫*, মাহমুদউল্লাহ ১১১, হাসান ১৫, নাসুম ১৯, মিরাজ ১১, লিটন ২২, মুশফিক ৮, সাকিব ১, তানজিদ ১২, শান্ত ০)
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ৫০ ওভারে ৩৮২/৫ (ইয়ানসেন ১*, মিলার ৩৪*, হাইনরিখ ক্লাসেন ৯০, ডি কক ১৭৪, হেন্ড্রিকস ১২, ফন ডার ডুসেন ১, এইডেন মারক্রাম ৬০)
মুগ্ধতা ছড়িযে থামলেন মাহমুদউল্লাহ
৩৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ যেন রেকর্ড ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ তার অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘাম ছুটালেন। এমনকি সেঞ্চুরিও করে ফেললেন দারুণ সব শট খেলে। ১০৪ বলে ১০ চার ও ৪ ছয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেন তিনি। টেল এন্ডারদের নিযেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন ডানহাতি ব্যাটার। মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে তার নবম উইকেটের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। নিজের সর্বোচ্চ ১২৮ রানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু পারেননি। জেরাল্ড কোয়েটজের স্লো বলে মার্কো ইয়ানসেনের ক্যাচ হন। ৪৬তম ওভারে ১১১ বলে ১১ চার ও ৪ ছয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সেরা ১১১ রান করেন তিনি। মোস্তাফিজের সঙ্গে ইনিংস সেরা ৬৮ রানের জুটি ছিল তার।
নো বলে জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশের দুইশ
৪২তম ওভারের তৃতীয় বল মিডউইকেটে লুফে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডার। বল কোমর উঁচুতে হওয়ায় নো বল ডাকলেন আম্পায়ার। দুটি রান যুক্ত হলো, বাংলাদেশ পৌঁছালো দুইশ রানে। এর আগে লিজাড উইলিয়ামসের হাত ফসকে মাহমুদউল্লাহ জীবন পান ৭৪ রানে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি গড়ে হাসানের বিদায়
লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের কাছ থেকে ভালো সঙ্গ পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। নাসুম আহমেদ তার সঙ্গে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি গড়েন। এবার হাসান মাহমুদ অষ্টম উইকেটে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রানের জুটি গড়ে ফিরে গেলেন। ১৫ রান করে তিনি কাগিসো রাবাদার বলে জেরাল্ড কোয়েটজেকে ক্যাচ দেন।
মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরিতে লড়ছে বাংলাদেশ
২৭তম ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজেকে চার মেরে দলীয় স্কোর একশ পার করেন মাহমুদউল্লাহ। দলের বিপর্যয়ের মধ্যে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি ৬৭ বল খেলে। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৪১ ও ৪৬ রান করার পর এই বিশ্বকাপে প্রথম ও ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ। এরই মধ্যে ৭ উইকেট পড়ে গেছে বাংলাদেশের। সবশেষ নাসুম আহমেদ টানা দুটি চার মেরে ২৯তম ওভারে কোয়েটজের শিকার হয়েছেন। দলীয় ১২২ রানে তিনি প্রোটিয়া পেসারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে থামেন। ১৯ বলে ১৯ রান করেন নাসুম। বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রানের জুটি গড়েন দুজন।
মহারাজেরই শিকার মিরাজ
কেশব মহারাজের বলে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ শেষমেশ তারই শিকার হলেন। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপে বড় শট মারার চেষ্টায় ধরা পড়লেন সীমানার কাছে। ১৯ বলে ১১ রান করা মিরাজের ক্যাচ নিলেন বদলি আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো।
ষষ্ঠ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। বাকি রইল আর ৪ উইকেট। ২২ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮১ রান। ক্রিজে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী হলেন নাসুম আহমেদ।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, কেশব মহারাজের বলটি লেগ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পিচ করেছিল। মিরাজ তখন ৫ রানে ছিলেন।২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ রান ৫ উইকেটে ৭২। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ১৫ ও মিরাজ ১৩ বলে ৬ রানে ব্যাট করছেন।
এলবিডব্লিউ হয়ে থামলেন লিটন
কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেন লিটন দাস। অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি লিটনের প্যাডে লাগার পর প্রোটিয়াদের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করলেন না আম্পায়ার। এরপর রিভিউ নেওয়া হলেও তা স্রেফ নষ্টই হলো।
ওপেনিংয়ে নামা লিটন থামলেন ২২ রানে। ৪৪ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ১ ছক্কা মারলেন তিনি। পঞ্চদশ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ পড়েছে মহাবিপাকে। বাকি ৩৫ ওভারে জয়ের জন্য ৫ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের চাই আরও ৩২৫ রান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের পর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার নেই বাংলাদেশের লাইনআপে।
ছক্কার চেষ্টায় আউট মুশফিক
৩১ রানে ৩ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশের দরকার ছিল ভালো একটি জুটি। কিন্তু লিটন দাসের সঙ্গে মিলে তা করতে ব্যর্থ হলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ তারকা আউট হলেন ছক্কা মারার চেষ্টায়।
জেরাল্ড কোয়েটজির অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথের ডেলিভারিটি সজোরে হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল সরাসরি চলে গেল থার্ড ম্যানে থাকা বদলি ফিল্ডার আন্দিল ফেলুকওয়ায়োর হাতে। উইকেট পেয়ে পেসার কোয়েটজির উদযাপন হলো দেখার মতো!
১৭ বলে ১ চারে ৮ রান করলেন মুশফিক। ৪১ রানে বাংলাদেশ হারাল ৪ উইকেট। ১২ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৪৬/৪। ক্রিজে লিটন দাস ৩২ বলে ১৪ রানে খেলছেন। তার সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ ১ বলে ৪ রানে।
টিকলেন না সাকিবও
৮ বলের মধ্যে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট! চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হতে পারলেন না। বরং তিনি সাজঘরে ফেরায় বিপদ আরও বাড়ল।
পেসার লিজাড উইলিয়ামসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলেন সাকিব। ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে গেল প্রথম স্লিপের দিকে। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন হেইনরিখ ক্লাসেন। ফিল্ডিংয়ে না থাকা কুইন্টন ডি ককের জায়গায় উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব বুঝে পেয়ে ম্যাচে তৃতীয় ক্যাচ নিলেন তিনি।
৪ বলে সাকিবের রান ১। অষ্টম ওভার শেষে বাংলাদেশ রয়েছে ভীষণ চাপে। তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২ রান। ক্রিজে ২৫ বলে ১২ রান করা লিটন দাসের সঙ্গী অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১ বলে ১ রানে।
শান্ত ‘গোল্ডেন ডাক’
পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেন। প্রথম বলে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের পর দ্বিতীয় বলে তিনি শিকার করলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে।
গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নিলেন শান্ত। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম বলেই আউট হলেন তিনি। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন তিনি।
লেগ স্টাম্পে থাকা নির্বিষ প্রকৃতির একটি ডেলিভারি ফ্লিক করেছিলেন শান্ত। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ হলো না ঠিকঠাক। টানা দ্বিতীয় ক্যাচ লুফে নিলেন উইকেটের পেছনে থাকা হেইনরিখ ক্লাসেন।
শান্তর বিদায়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। দলীয় ৩০ রানে তারা হারাল ২ উইকেট। সাত ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩১ রানে। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তানজিদের বিদায়ে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের দরকার ছিল শক্ত ভিত। কিন্তু সপ্তম ওভারের প্রথম বলে তানজিদ হাসানের বিদায়ে ভাঙল ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
অন সাইডে থাকা মার্কো ইয়ানসেনের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে পরাস্ত হলেন তানজিদ হাসান তামিম। তার গ্লাভসে লেগে বল জমা পড়ল উইকেটরক্ষক হেইনরিখ ক্লাসেনের হাতে। ১৭ বলে ১ চারে তানজিদের রান ১২।
ক্রিজে আরেক ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গী হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের সাবধানী শুরু
৩৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় সাবধানী শুরু করল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস খেলছেন দেখেশুনে। ৫ ওভার শেষে টাইগারদের রান বিনা উইকেটে ১৯। তানজিদ ১৩ বলে ৭ ও লিটন ১৭ বলে ৮ রানে ক্রিজে আছেন।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়ার কীর্তি লেখার পাশাপাশি নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নজির স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইংলিশ ক্রিকেটারদের দুর্দশার কারণ বায়ুদূষণ!