বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

বাজারে বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আজকের বাজারে চিত্র। আজ সবজির সঙ্গে মাছের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। এছাড়া মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
বাজারে বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ

বাণিজ্য ডেস্ক।।

রোজার মাসের শুরু থেকেই সবজির বাজার রয়েছে অনেকটাই নিম্নমুখী। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অনেকটাই কমে এসেছে। কিন্তু সবজির দাম কমতে থাকলেও মাংসের বাজার এখনও রয়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সরকার মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে নানা উদ্যোগ নিলেও প্রকৃতপক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আজ দেড় কেজি ওজনের নিচের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২১৫ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৭৮০ টাকা করে। মুরগির মাংসের দাম এক লাফে এতো বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা  ছিলেন নিরুত্তর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আজকের বাজারে চিত্র। আজ সবজির সঙ্গে মাছের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। এছাড়া মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

চাল-ডাল (ছবি: আসাদ আবেদীন জয়)

বাজারে শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, টক টমেটো ৮০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৬০-১০০ টাকা, ক্ষিরা ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা,  চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ১৪০, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কোনও সবজির দাম বাড়েনি। বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। সজনে গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে আর আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।

মাছ (ছবি: আসাদ আবেদীন জয়)

এছাড়া আজ মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০- ২২০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ২০০,  চায়না আদা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ভালো মানের পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। আর বড় সাইজের দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার মাসে সবজি কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এটা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে বলতে হবে।

এদিকে সবজির বাজার যখন ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তির সুবাতাস দিচ্ছিলো ঠিক তখনই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আজ ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ২০২-২৪০ টাকা, কক মুরগি ৩০২-৩১২ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬২০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২১৫ টাকা করে। আজ দেড় কেজি ওজনের নিচের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। আর এর ওপরে ওজনের মুরগির দাম শুরু হয়েছে ২০২ টাকা থেকে।

গরুর মাংস (ছবি: আসাদ আবেদীন জয়)

মুরগির দাম একলাফে এতো বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে বিভিন্ন দোকানির সঙ্গে কথা বললে তারা সবাই ছিলেন নিরুত্তর। কেউ এর কোনও জবাব দিতে চাননি। একজন বিক্রেতা শুধু বলেছেন, ‘রেট বেশি থাকলে আমরা কী করবো?’

এদিকে মুরগী কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন ঈদ আসছে বলেই এখন মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

আরেফিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ব্রয়লার মুরগি বড় সাইজেরগুলোর কিন্তু স্বাদ কম।  তাই ওগুলোর দামও কম। ছোট মুরগির চাহিদা বেশি বলেই ওইটার দাম বেশি। আরেক ক্রেতা এজাজ রহমান বলেন, ঈদ আসার আগেই আবার খেলা শুরু। মুরগির দাম এক ধাক্কায় বেশি করে বাড়িয়ে পরে ৫ টাকা করে কমাবে। এই সিস্টেম তো আমাদের আর অজানা না।

অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা না করেই আজও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।  উল্লেখ্য, সরকার গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দোকানে এই মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়নি।

আজ মুদি দোকানের পণ্যের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত।  ছোট মুসরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেশারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০, টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৬.৫৯%

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net