খেলা ডেস্ক।।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটা সময় শক্ত পজিশনে ছিল পাকিস্তান। পেসার অ্যাডাম মিলনে গুরুত্বপূর্ণ জুটিটি ভাঙলে শেষ পর্যন্ত ছিটকে গেছে ম্যাচ থেকে। তাতে ২১ রানের দারুণ জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানের লিড নিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের দারুণ জয়টা আবার এসেছে বড় মাশুল দিয়ে। টস হেরে ব্যাটিংয়ের সময় অধিনায়ক কেন উইলয়ামসনকে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ২৬ রানে। তাতে সিরিজের বাকি ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ফিন অ্যালেনের বিধ্বংসী ও ম্যাচসেরা ইনিংস গড়ে দেয় বড় স্কোরের ভিত। ৫ ছক্কায় ৪১ বলে ৭৪ রান করেছেন তিনি। একটা সময় স্বাগতিকরা ১ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে ভালো অবস্থানে ব্যাট করছিল। কেন উইলিয়ামসন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পরেই ছন্দপতন হয়েছে ইনিংসে। পরে ৮ উইকেটে তারা তুলতে পারে ১৯৪ রান। শেষ দিকে কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ভূমিকা রাখেন মিচেল স্যান্টনার। ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা এই অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। ৪৩ রানে দুটি নিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি। রান তাড়া করতে নামলে পাকিস্তানের ওপর প্রথম ম্যাচের মতোই চাপ তৈরি করে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। জুটি ভেঙে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে তাদের পথটা কঠিন করে দিয়েছে। ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন বাবর আজম ও ফখর জামান। ২৫ বলে ৫০ রান করা ফখর যেভাবে বিস্ফোরক ব্যাটিং করছিলেন, তাতে দশম ওভারে মনে হচ্ছিল লক্ষ্য বুঝি তাড়া করা সম্ভব! কিন্তু ওই ওভারে ফখরকে মিলনে বোল্ড করলে ভাঙে ৮৭ রানের দারুণ জুটি। তার পরেই মূলত ছিটকে যেতে থাকে সফরকারীরা। তার পর থেকে সংগ্রামের মুখে পড়া পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র হুমকি ছিলেন বাবর। ১৭.১ ওভারে তাকে ৬৬ রানে সাউদির ক্যাচ বানিয়ে স্বস্তি ফেরান সিয়ার্স। ফেরার আগে ৭৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল বাবরের ইনিংস। তার পর ১৯.৩ ওভারে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
মিলনে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে নিয়েছেন টিম সাউদি, বেন সিয়ার্স ও ইশ সোধি।
আরও পড়ুন: শাহীন-বাবরের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব, বলেন না কথা